এস আলম গ্রুপের বিদেশে বিনিয়োগ বা অর্থ স্থানান্তরের অভিযোগের সত্যতা অনুসন্ধানে হাইকোর্টের আদেশ বাতিল চেয়ে করা লিভ-টু-আপিলে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনকে পক্ষভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত।
‘এস আলমের আলাদিনের চেরাগ’ শিরোনামে আলোচিত খবরটি হাইকোর্টের নজরে এনেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও সদ্য সংসদ সদস্য হওয়া ব্যারিস্টার সুমন। তবে সুমনকে পক্ষভুক্ত না করেই হাইকোর্টের আদেশ বাতিল চেয়ে লিভ টু আপিল করা হয়। তবে রোববার প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বিভাগ হাইকোর্টের দেয়া আদেশের ওপর ‘স্ট্যাটাসকো’ চলমান রেখে লিভ টু আপিলটিতে ব্যারিস্টার সুমনকে পক্ষভুক্ত করে শুনানির জন্য আগামী ৫ ফেব্রুয়ারী দিন ধার্য করেন।
আদালতে এস আলম গ্রুপের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী আজমালুল হোসেন কেসি, সিনিয়র আইনজীবী আহসানুল করিম ও সিনিয়র আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা। দুদকের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী খুরশিদ আলম খান।
‘এস আলমের আলাদিনের চেরাগ’ শিরোনামে গত ৪ আগস্ট ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারে প্রকাশিত অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চের নজরে আনলে আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে রুলসহ আদেশ দেন। হাইকোর্ট তার আদেশে এস আলম গ্রুপের বিদেশে বিনিয়োগ বা অর্থ স্থানান্তরের অভিযোগের সত্যতা অনুসন্ধান করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে এস আলমের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের চেম্বার আদালত হাইকোর্টের আদেশে ‘স্ট্যাটাসকো’ দিয়ে বিষয়টি আপিল বিভাগে শুনানির জন্য নির্ধারণ করেন। এই আদেশের ফলে এস আলম গ্রুপের বিদেশে বিনিয়োগ বা অর্থ স্থানান্তরের অভিযোগের সত্যতা অনুসন্ধানের কার্যক্রম আপাতত বন্ধ হয়ে যায় বলে জানান আইনজীবীরা।
গত ৪ আগস্ট ডেইলি স্টারে প্রকাশিত অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘এস আলম গ্রুপের মালিক মোহাম্মদ সাইফুল আলম সিঙ্গাপুরে কমপক্ষে এক বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। যদিও বিদেশে বিনিয়োগ বা অর্থ স্থানান্তরে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে এ সংক্রান্ত কোনো অনুমতি তিনি নেননি। এছাড়া এই প্রতিবেদনে তিন মহাদেশে এদের অর্থ ছড়ানোর কথা বলা হয়েছে।’