ক্যাম্প শুরুর দিন সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে আবু জায়েদ রাহি বলেছিলেন, এশিয়া কাপ জেতার লক্ষ্য নিয়েই আরব আমিরাত যাবে বাংলাদেশ। দলীয় মিটিংয়ে মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা নাকি সতীর্থদের মাঝে ছড়িয়েছেন চ্যাম্পিয়ন হওয়ার বিশ্বাসও। অধিনায়কের কথা ক্রিকেটারদের মাঝে ছড়িয়েছে টনিক হয়ে। দলের অন্যদের কণ্ঠেও শোনা গেছে সেটার প্রতিধ্বনি।
৯ সেপ্টেম্বর দুবাই যাত্রা করবে টিম টাইগার্স। এশিয়া কাপের জন্য উড়াল দেয়ার আগে বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফী ব্যাপারটি ব্যাখ্যা করলেন। অধিনায়ক মনে করেন এশিয়া কাপ জেতার সামর্থ্য আছে বাংলাদেশের। দারুণ খেলে কিছু ঘাটতি পূরণ করা গেলে চ্যাম্পিয়ন হওয়া অসম্ভব নয়।
‘সবকিছু নির্ভর করে আমরা কতটুকু তৈরি আছি টুর্নামেন্ট জেতার জন্য। আপনারা বললেন, বেশিরভাগ খেলোয়াড় বলছে টুর্নামেন্ট জিতব। আমি অবশ্য এই টাইপ কথা বলতে কখনোই পছন্দ করি না। তবে মনে করি অবশ্যই সামর্থ্য আছে।’
মাশরাফী মতে, বাংলাদেশ দলে লেগস্পিনার না থাকা এবং অন্য দলগুলোতে বিশ্বমানের লেগস্পিনার থাকায় কিছুটা পার্থক্য থেকে যাবে। ওই পার্থক্যটুকু যদি পারফর্ম করে পূরণ করা যায় তাহলে সবকিছুই সম্ভব।
‘যদি অন্য টিমের সাথে তুলনা করেন, সব মিলিয়ে মনে হয় আমাদের থেকে ভালো টিম আছে ওখানে। খুব বেশি ব্যবধান আমার কাছে মনে হয় না। যদি অতটুকু গ্যাপ পূরণ করতে পারি, মনে হয় সম্ভব সবকিছু। তারপরও নির্ভর করছে। প্রথম ম্যাচটা ভালো খেলে জিততে পারি কিনা। তার উপরই অনেক কিছু।’
টানা তিনটি এশিয়া কাপ হয়েছে বাংলাদেশের মাটিতে। যার দুটিতে ফাইনাল খেললেও শিরোপার নাগাল পাওয়া যায়নি। এবার বিদেশের মাটিতে এশিয়া কাপ। বাস্তবতা মেনে সম্ভাবনা দেখলে এবার কতটা থাকছে?
‘এভাবে তো বলা যায় না, সম্ভাবনা কতটুকু থাকবে। আপনি যদি দলগুলো দেখেন, ভারত অনেক অনেক ভালো টিম এখানে যারা খেলবে তাদের মধ্যে। পাকিস্তান হয়ত হোম টিম, তারা এখানে খেলছে কিছুটা তাদের সুবিধা আছে। রিস্ট স্পিনার যাদের আছে তাদের টিম বেশি সম্ভাবনা আছে। আমাদের সামর্থ্য আছে তাদের হারানোর। মূল ব্যাপার হচ্ছে আমরা কেমন শুরু করি এবং পরবর্তী রাউন্ডে যেতে পারি কিনা। এখানে বিভিন্ন ক্যালকুলেশন আছে। সবঠিক থাকলে আমরা তাদের থেকে খুব পিছিয়ে নেই।’
১৫ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে এশিয়া কাপ। বৃহস্পতিবার শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে হয়ে গেল টাইগারদের শেষ অনুশীলন সেশন। পরে মাশরাফীর সামনে প্রশ্ন থাকল আগের দুটি আসরের সঙ্গে এবারের আসরের তুলনা প্রসঙ্গে।
‘প্রত্যেকটা খেলাই টাফ। আগে যেগুলো খেলেছি সেগুলো টাফ ছিল। এবারও টাফ থাকবে। পরিস্থিতি অবশ্যই কঠিন হবে। ওখানে টিম হিসেবেও আমরা খেলিনি (দুবাই ও শারজায়) সেটাও একটা ব্যাপার। তারপরও আগে আমরা অনেক জায়গায় সফল হয়েছি, অনেক প্রশ্নবোধক চিহ্ন থাকার পরও।’
‘অনেক ভালো জিনিস ছিল, খারাপ জিনিস ছিল। ওসবের মধ্যেও আমরা সফল হয়েছি। এটা আসলে মনে হয় না ইস্যু। আমরা শুরুটা কেমন করছি এবং শ্রীলঙ্কার সাথে কেমন করছি। বিশেষ করে ১৫ তারিখটা গুরুত্বপূর্ণ বলে আমার কাছে মনে হয়।’ -বলেন মাশরাফী।