ইন্দোনেশিয়ার লেখক জেসে ইউ সুতান্তো যখন ‘ডায়াল এ ফর আন্টিজ’ লিখেছিলেন, তখন তিনি ধারণাও করতে পারেননি যে বইটি লুফে নেবে নেটফ্লিক্স। এক সাক্ষাৎকারে তিনি কথা বলেছেন এই প্রসঙ্গে।
তিনি বলেন, তার বইটির গল্প এক ফটোগ্রাফারকে ঘিরে যিনি বিয়ের ছবি তোলেন। দুর্ঘটনাবশত একজন মানুষকে খুন করে ফেলেন এবং ইন্দোনেশিয়ার একটি বিয়ের অনুষ্ঠান চলাকালীন মৃতদেহটি লুকানো হয়। এরপর এগিয়ে যায় ছবির কাহিনী।
তিনি বলেন, ‘লকডাউনের কারণে সবারই বিনোদন প্রয়োজন। এই ছবিতে তা মিলবে। চাইনিজ-ইন্দোনেশিয়ান বিয়েতে ২০০০ এর মতো অতিথি থাকে। গল্পের নায়িকার এত মানুষের মধ্যে মৃতদেহ লুকাতে হয়। তার মা এবং আন্টিরা সাহায্য করেন এই কাজে।’
সুতান্তো বিশ্বাস করেন, ‘ক্রেজি রিচ এশিয়ানস’ ছাড়া এই সুযোগ কখনই মিলতো না। ‘ক্রেজি রিচ এশিয়ানস’ সফল হয়েছে বলেই এশিয়ার লেখকদের গল্পের প্রতি বাড়তি আগ্রহ তৈরি হয়েছে নির্মাতাদের।
‘ক্রেজি রিচ এশিয়ানস’ ছবিটিকে বলা হয় ম্যাসিভ হিট। জন এম চু’র ‘ক্রেজি রিচ এশিয়ানস’ বিশ্বজুড়ে ১৮৫ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে। কেভিন কন এর বেস্টসেলার উপন্যাস ‘ক্রেজি রিচ এশিয়ানস’ অবলম্বনে ছবিটি তৈরি করা হয়েছে।
এশিয়ানদের দখলে চলে গেছে এবারের অস্কারও। সেরা ছবির পুরস্কার জিতে নিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ান নির্মাতা বং জুন হো’র ‘প্যারাসাইট।’
বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফিল্ম মার্কেটও এশিয়ার চীনে। প্রযোজক-নির্মাতাদের বাড়তি আগ্রহ থাকে চীনকে ঘিরে। শুধু মাত্র চীন থেকেই একটি সিনেমা আয় করতে পারে ১ বিলিয়ন ডলার।
বিশ্বের দর্শকের রুচিও বদলেছে। আগে হলিউড ব্লকবাস্টারের অপেক্ষায় যারা থাকতেন, তারা এখন পুরো বিশ্বের নামী নির্মাতাদের সিনেমা দেখতে পারেন স্ট্রিমিং সাইটগুলোর বদৌলতে। হলিউডের তারকাবহুল ছবির বদলে ভালো গল্পের ছবি খোঁজেন দর্শকরা। বিশেষ করে লকডাউনে যখন হলিউডের বড় বাজেটের ছবিগুলো মুক্তির অপেক্ষায় দিন গুনছে, তখন দর্শক নানা ভাষার ছবি উপভোগ করছে স্ট্রিমিং সাইটগুলোতে। সাবটাইটেল থাকায় ভাষা বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি।
আমেরিকার কোম্পানিগুলো এখন এশিয়ার কন্টেন্টের প্রতি মনোযোগ দিচ্ছে। সামাজিক গল্পের ছবিগুলোর প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছেন প্রযোজকরা যেগুলো দর্শক নিজেদের জীবনের সঙ্গে মেলাতে পারবে। বিবিসি