চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

এল ক্ল্যাসিকোতে রোনালদোর অভাব টের পাবেন মেসি

ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো জুভেন্টাসে পাড়ি জমালেও লা লিগা আলো করে আছেন লিওনেল মেসি। আর্জেন্টাইন মহাতারকা বার্সেলোনায় থাকলেও রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক ফরোয়ার্ডের অভাবটা বেশ টের পাচ্ছে লা লিগা দর্শকরা। বিশেষ করে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর দ্বৈরথ না থাকায় অনেকখানি আলো হারিয়েছে এল ক্ল্যাসিকো। মেসি নিজেও বলছেন সেটা, বার্সা-রিয়ালের লড়াই হলে রোনালদোকে খুঁজে বেড়ায় তার চোখ।

মেসির সঙ্গে প্রায় এক দশক দারুণ এক লড়াই উপহার দেয়ার পর ২০১৮ সালে ১০০ মিলিয়ন ইউরোতে জুভেন্টাসে চলে যান রোনালদো। যাওয়ার আগে গড়ে দিয়ে গেছেন রিয়ালের হয়ে সর্বোচ্চ গোল করার রেকর্ড। লস ব্লাঙ্কোসদের দিয়ে গেছেন চার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপার স্বাদ।

জুভেন্টাসে যাওয়ার পর থেকে রোনালদোর সঙ্গে এখন পর্যন্ত মাঠে মোলাকাত হয়নি মেসির। কাতালানভিত্তিক রেডিও রেস ওয়ানকে সাক্ষাৎকারে বার্সা অধিনায়ক জানিয়েছেন পর্তুগিজ মহাতারকা স্পেনে থেকে গেলেই তিনি খুশি হতেন, ‘ক্রিস্টিয়ানো মাদ্রিদের হয়ে স্প্যানিশ লিগে থেকে গেলে আমি খুবই খুশি হতাম। সে থাকলে আমাদের দ্বৈরথটা আরও গতিময় হতো, এল ক্ল্যাসিকো-লা লিগা তো অবশ্যই।’

‘আমার মনে আছে, বছরের শুরুর দিকে আমি বলেছিলাম যে রোনালদোর অভাব রিয়াল টের পাবেই, অন্য যেকোনো দল হলেও পেত। তবে হ্যাঁ, এটা মাদ্রিদ। তাদের অনেক মানসম্পন্ন খেলোয়াড় আছে। তারা সর্বস্ব দিয়ে লড়াই করে। আর তাদের আছে সমৃদ্ধ ইতিহাস।’

গত দশ বছরে প্রায় সব পুরষ্কার নিয়ে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে মেসি-রোনালদোর। দুজনেই জিতেছেন সমান পাঁচটি করে ব্যালন ডি’অর। মাঠের মতো বাইরেও দুজনের এমন প্রতিদ্বন্দ্বিতা ইতিহাস স্বীকৃতি দিয়েছে ফুটবলের সর্বকালের সেরা দ্বৈরথ হিসেবে।

তবে মেসির দাবি, রোনালদোর সঙ্গে তার লড়াইটা কখনই শিরোপা দিয়ে মাপা যাবে না। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে বেশি ব্যালন ডি’অর জিতবেন এমন ইচ্ছাও নাকি তার নেই, ‘আমি কখনোই ভাবিনি যে রোনালদোর চেয়ে বেশি ব্যালন ডি’অর জিতে ক্যারিয়ার শেষ করবো।’

বার্সায় এখন নিজেকে সুখী দাবি করলেও মেসি স্বীকার করেছেন পাঁচ বছর আগে স্পেন ছাড়তে চেয়েছিলেন। কর ফাঁকির মামলায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল তার জীবন। ২০০৭ ও ২০০৯ সালে ৪১ লাখ ইউরো কর ফাঁকির অভিযোগ উঠেছিল আর্জেন্টাইন অধিনায়কের নামে।

‘২০১৩ ও ২০১৪ সালে আমার জীবন একদম দুর্বিষহ হয়ে উঠেছিল। সে সময়টায় আমার নামে কর ফাঁকির মামলা দাঁড় করানো হয়। সময়টা আমার আর আমার পরিবারের জন্য খুব কঠিন ছিল।’

‘আমিই বোধহয় সেই ব্যক্তি যার নামে এই ধরনের মামলা প্রথম শুরু হয়। আর এই কারণে সবকিছু আরও কঠিন ছিল। স্প্যানিশ কর কর্তৃপক্ষ বুঝিয়ে দিয়েছিল যেকরেই হোক তারা আমাকে দোষী সাব্যস্ত করবে এবং অন্যকোনো ফুটবলার ও খেলোয়াড়দেরও তারা ছাড়বে না।’

‘তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম বার্সা ছাড়বো। আসলে বার্সা নয়, আমি আসলে স্পেন ছাড়তে চেয়েছিলাম। আমার মনে হয়েছে তারা আমার সঙ্গে ঠিক ব্যবহারটা করছে না। আমি আর এখানে থাকতে চাইনি।’

‘আমি অনেক ক্লাবের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তারা অবশ্য আমাকে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রস্তাব দেয়নি। কারণ তারা জানতো আমি বার্সাতেই থাকতে চাই। এরপর সব ঠিক হয়ে গেছে। এখন এই ক্লাবই আমার ঘর। একটা বিষয় ভালো হয়েছে যে, আমার ছেলেরা খুব ছোট থাকায় তাদের এই কঠিন সময়টা দেখতে হয়নি।’