রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন পাওয়া উপহার সামগ্রী আত্মসাত ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে করা দুর্নীতির মামলায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের তিন বছরের সাজার বিরুদ্ধে আসামি ও সরকারের করা আপিলের রায় ঘোষণার জন্য ৯ মে তারিখ ঠিক করেছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার শুনানি শেষে রায় ঘোষণার তারিখ জানান।
গত ২৭ মার্চ এই মামলায় সাজার বিরুদ্ধে করা আপিল ও এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল একসঙ্গে শুনানির জন্য বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর সমন্বয়ে একটি নতুন বেঞ্চ গঠন করে দেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা।
এর আগে এরশাদের আপিল শুনানি শেষে গত ২৩ মার্চ রায়ের দিন ধার্য থাকলেও আসামির সাজা বাড়াতে রাষ্ট্রপক্ষের আরও দুটি আপিল অনিষ্পন্ন থাকায় সেদিন আর রায় না দিয়ে মামলার নথি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুসের একক বেঞ্চ।
রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন পাওয়া উপহার সামগ্রী আত্মসাত ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে ১৯৯১ সালের ৮ জানুয়ারি সেনানিবাস থানায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলাটি দায়ের করে তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরো।
বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে ১৯৯২ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি এই মামলায় এরশাদকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত। তবে বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে এরশাদ আপিল করলে তার তিন বছরের কারাদণ্ড স্থগিত হয়ে যায়।
এরপর ২০১২ সালে দুদক এই মামলায় পক্ষভুক্ত হয়। সর্বশেষ গত ২২ আগস্ট মামলার আপিলটি কার্যতালিকায় আনার জন্য হাইকোর্টে আবেদন করা হয়। পরবর্তী সময়ে বিষয়টি কার্যতালিকাভুক্ত হয়।
এরশাদ হাইকোর্টের আদেশে এই মামলায় বর্তমানে জামিনে আছেন বলে জানান আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।