জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর, সাবেক সংসদ সদস্য ও প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা এম আব্দুর রহিমের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী শুক্রবার।
এম আব্দুর রহিমের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্বাস্থ্য বিধি মেনে পরিবার ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের পক্ষ হতে তার কবরে শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করা হবে।
এছাড়াও কোরআন খতম এবং বাদ জুম্মা বিভিন্ন মসজিদে দোয়াসহ বিভিন্ন কর্মসূচির আয়ােজন করা হয়েছে।
এম আব্দুর রহিম হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিমের বাবা। এম আব্দুর রহিমের চার মেয়ের মধ্যে দুইজন চিকিৎসক।
২০১৬ সালে ৪ সেপ্টেম্বর এম আব্দুর রহিম ৯০ বছর বয়সে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
১৯২৭ সালের ২১ নভেম্বর দিনাজপুর সদর উপজেলার শংকরপুর ইউনিয়নের জালালপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫৯ সালে এলএলবি ডিগ্রি অর্জনের পরের বছর দিনাজপুর বার-এ আইনজীবী হিসেবে যোগ দেন তিনি। রাজশাহী কলেজের শহীদ মিনার নির্মাণে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। এছাড়াও হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সঙ্গে ১৯৫৪ সালের নির্বাচনী প্রচারাভিযানে অংশ নেন এম আব্দুর রহিম।
ঐতিহাসিক আগরতলা মামলার লিগ্যাল এইড কমিটির সদস্য আব্দুর রহিম আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ১৯৭০ সালে প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন।
স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বৃহত্তর দিনাজপুর অঞ্চলের মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এম আব্দুর রহিম। একাত্তরে তাকে মুজিবনগর সরকার পশ্চিম জোনের চেয়ারম্যান-১ নিযুক্ত করে। আর স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়ন কমিটির অন্যতম সদস্য হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তিনি।
দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগ ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতির দায়িত্ব পালন করা আব্দুর রহিম ১৯৯১ সালে দিনাজপুর সদর আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
২০১৮ সালে সরকার এম আব্দুর রহিমকে রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ সম্মাননা ‘স্বাধীনতা পদক’ (মরনোত্তর) প্রদান করে।