সিলেটের (মুরারিচাঁদ) এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গণধর্ষণ মামলার তিন আসামি রাজন, আইনুল ও মাহবুবুর রহমান রনি সংঘবদ্ধ ধর্ষণে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
শনিবার আসামি রাজন সিএমএম- ১ এর অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াদুর রহমানের আদালতে এবং বাকি দুই আসামি রনি ও আইনুদ্দিন সিএমএম কোর্ট- দুই ও তিনের বিচারক সাইফুর রহমান এবং শারমিন খানম নিলার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
জবানবন্দিতে তিন আসামি ধর্ষণে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারি কমিশনার (প্রসিকিউশন) অমূল্য ভূষণ চৌধুরী।
চাঞ্চল্যকর এ মামলায় এজাহারভুক্ত ৬ আসামিসহ ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ও র্যাব। গত শুক্রবার এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে বেড়াতে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন এক তরুণী। স্বামীকে মারধর করে তাকে ছিনিয়ে ছাত্রাবাসে নিয়ে যায় কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী।
স্ত্রীকে বাঁচাতে স্বামী তাদের পিছু পিছু গেলে তাকে বেঁধে রেখে ছাত্রলীগের ওই নেতাকর্মীরা তরুণীকে ধর্ষণ করে।
পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশ কলেজের ছাত্রাবাস এলাকা থেকে ধর্ষণের শিকার তরুণী এবং তার স্বামীকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। পরদিন ওই ঘটনায় ছাত্রলীগের ৯ জন নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
তারা হলেন; এমসি কলেজ ছাত্রলীগের নেতা ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্সে শিক্ষার্থী শাহ মাহবুবুর রহমান রণি, একই শ্রেণীতে অধ্যয়নরত ছাত্রলীগ নেতা মাহফুজুর রহমান মাছুম, ছাত্রলীগ কর্মী এম সাইফুর রহমান, অর্জুন লস্কর এবং বহিরাগত ছাত্রলীগ নেতা রবিউল ও তারেক।
মামলায় ৬ জনকে সরাসরি জড়িত বলে অভিযুক্ত করা হয়েছে। অন্য ৩ জনের বিরুদ্ধে সহযোগিতার অভিযোগ আনা হয়। গণধর্ষণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়াও কলেজর দুই দারোয়ানকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।