সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে তরুণীকে গণধর্ষণের ঘটনায় হওয়া মামলার আসামি শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রনি এবং রবিউল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব ও পুলিশ।
রোববার রাতে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ থেকে রনিকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৯ এবং নবীগঞ্জ থেকে রবিউলকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ।
গ্রেপ্তার শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রনি হবিগঞ্জ সদর থানার বাগুনীপাড়ার শাহ মো. জাহাঙ্গীর মিয়ার ছেলে ও রবিউল ইসলাম (২৫) সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই থানাধীন বড়নগদীপুর (জাগদল) গ্রামের বাসিন্দা।
হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ থেকে রনিকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন।
হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা ধর্ষণ মামলার আসামি রবিউলকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত বলেন, আমাদের ডিবি (গোয়েন্দা) পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।
র্যাব সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক বার্তায় বলা হয়, গৃহবধু গণধর্ষণ মামলার আসামি মাহবুবুর রহমান রনিকে হবিগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৯।
এর আগে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমান ও চার নম্বর আসামি অর্জুন লস্করকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সুনামগঞ্জের ছাতক থেকে ভোরে হাইওয়ে পুলিশ প্রথমে সাইফুরকে গ্রেপ্তার করে। পরে হবিগঞ্জের মাধবপুর থেকে অর্জুনকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।
গত শনিবার সকালে ওই গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে শাহপরান থানায় ছাত্রলীগ কর্মী সাইফুর রহমানকে প্রধান আসামি করে নয় জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলার বাকি আসামিরা হলেন: এমসি কলেজের ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, মাহফুজুর রহমান মাছুম, অর্জুন লস্কর ও ‘বহিরাগত’ ছাত্রলীগ কর্মী রবিউল এবং তারেক আহমদ।
শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে টিলাগড় এলাকার এমসি কলেজে স্বামীর সাথে বেড়াতে আসা ওই তরুণীকে ক্যাম্পাস থেকে তুলে ছাত্রাবাসে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়।