সিলেটের এমসি কলেজে ছাত্রাবাসের গৃহবধু ধর্ষণ মামলার ৬ নম্বর আসামি মাহফুজুর রহমানকে ৫ দিনের রিমান্ডে দিয়েছেন আদালত।
বুধবার দুপুরে সিলেটের সিএমএম আদালতে পুলিশ আসামিকে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড চায়। শুনানী শেষে আদালত আসামিকে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এ নিয়ে আলোচিত এ মামলায় ৮ আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর মধ্যে ৭ জনই রিমান্ডে রয়েছে।
এর আগে সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ডিবি ও কানাইঘাট থানা পুলিশের যৌথ অভিযান চালিয়ে জৈন্তাপুরের হরিপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ জানায়, ঘটনার পর থেকে এক আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নেয় মাহফুজ।
চাঞ্চল্যকর এই ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমানসহ তিনজনকে ৫ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সিলেট মহানগর মুখ্য হাকিম আদালতের বিচারক সাইফুর রহমান এই আদেশ দেন।
ধর্ষণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ছয় আসামিসহ ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরমধ্যে প্রধান আসামি সাইফুর রহমান ও চার নম্বর আসামি অর্জুন লস্করকে সোমবার দুপুরে আদালতে নেয়া হয়। সেখানে তাদের সাত দিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে তাদের ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন সিলেট মহানগর মুখ্য হাকিম আদালতের বিচারক সাইফুর রহমান।
বিকেলে ধর্ষণ মামলার ৫ নম্বর আসামি রবিউল ইসলামকে একই আদালতে তোলা হলে তারও পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। আদালতে শুনানিকালে আসামি পক্ষের কোনো আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না।
রোববার সাইফুর রহমান ও অর্জুন লস্কর ছাড়াও গ্রেপ্তার করা হয় ধর্ষণ মামলার আসামি মাহবুবুর রহমান রনি ও রবিউল ইসলামকে। সোমবার মধ্যরাতে রাজন আহমদ নামে আরেক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। রাজনকে পালাতে সহযোগিতা করায় আইনুল ইসলাম নামে আরেক ব্যক্তিকেও গ্রেপ্তার করা হয়। আর সর্বশেষ গ্রেপ্তার করা হয় ৬ নম্বর আসামি মাহফুজুর রহমানকে।
গৃহবধু ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের বিচারের দাবিতে নগরীর কোর্ট পয়েন্টে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হন ওই গৃহবধূ।