সংসদ সদস্য লিটনকে হত্যার পর কাছের একটি স্কুল মাঠে অবস্থান করে মোবাইল ফোনে অপারেশনের ব্যাপারে হুকুমকারীকে জানিয়েছিলো খুনিদল। স্বজনরা জানিয়েছেন, শিশু সৌরভকে গুলির ঘটনার পর লিটনের ব্যক্তিগত অস্ত্র জব্দ থাকলেও তার বাড়ির নিরাপত্তায় কোনো পুলিশ সদস্য থাকতেন না। শুধু বাইরে গেলে তাকে নিরাপত্তা দিতো পুলিশ।
সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনকে হত্যার প্রতিবাদে ও হত্যাকারীদের গ্রেফতার দাবিতে সকাল থেকেই উত্তাল গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ-বামনডাঙ্গাসহ আশপাশের এলাকা। রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে ও টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে ব্যারিকেড দিলে বন্ধ হয়ে যায় যানবাহন চলাচল।
রেলপথ অবরোধ করে বাইরে আগুন দিলে ৫ ঘণ্টারও বেশি আটকা থাকে আন্তঃনগর ট্রেনসহ কয়েকটি ট্রেন।
প্রতিবাদকারীরা বলেন, যদি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রশাসন খুনিদের আইনের আওতায় না নিয়ে আসে তাহলে অনির্দিষ্টকালের জন্য আন্দোলন চলবে।
স্বজনরা বলছেন, শিশু সৌরভকে গুলির ঘটনায় নিজের লাইসেন্স করা পিস্তল সিজ হয়ে যাবার পর থেকে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিয়ে শংকায় ছিলেন এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন। বিষয়টি কাছের মানুষদের বলেছিলেণ তিনি। বাসার বাইরে কোথাও গেলে বা অবস্থান করলে অস্ত্রধারী থানা পুলিশ তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতো। তবে, বাসায় অবস্থানকালে কোনো গানম্যান থাকতেন না। এ সুযোগটিই কাজে লাগায় খুনিরা।
হত্যাকাণ্ডে জঙ্গিদের সন্দেহ করা হলেও নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছে না পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টহল দিচ্ছে আধা সামরিক বাহিনী বিজিবি। জানাযার জন্য এমপি লিটনের মরদেহ ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সোমবার জাতীয় সংসদ ভবনের সাউথ প্লাজায় জানাজার পর মরদেহ গাইবান্ধার গ্রামের বাড়িতে আনার পর হবে দাফন।