নর্থ কোরিয়ার নাম শুনেনি এমন মানুষ হয়তো খুব কম। এর অন্যতম কারণ কিম জং উন। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সাপে-নেউলে সম্পর্ক এবং হুমকি-পাল্টা হুমকির কারণে প্রায় সবসময়ই আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের শিরোনাম থাকেন তিনি। তবে এবার শিরোনামে আসলেন বিচিত্র এক কারণে, যদিও এই কারণ তিনি ক্ষমতায় আসীন হওয়ার সময় থেকেই কার্যকর। গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা যায়: ‘সাউথ কোরিয়ায় শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া শীতকালীন অলিম্পিকে অংশ নিয়েছে নর্থ। সম্প্রতি সেখানে নিজ দেশের ক্রীড়াবিদদের সঙ্গে দেখা করতে যান নর্থের ক্রীড়া উপমন্ত্রী ওন গিল-উ। সব খেলোয়াড়ের নাম ধরে ডাকলেও এক খেলোয়াড়ের সামনে গিয়ে যেন ভাষা হারিয়ে ফেলেন তিনি। নর্থ কোরিয়ার নেতার নামের সঙ্গে যে কো জং-উন নামের ওই খেলোয়াড়ের নাম মিলে গেছে! তাই কো জং-উনের নাম বলতে গিয়ে তিনি থমকে যান। ওই খেলোয়াড়ের দিকে ফিরে ব্যাজ দেখেই যেন জমে গেলেন। কিছু সময় কোন শব্দই উচ্চারণ করতে পারলেন না। তারপর বললেন, তোমার নাম উচ্চারণের সাহস আমার নেই।’ কোরীয় উপদ্বীপের দেশ উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং-উনকে সাধারণত ‘সর্বোচ্চ নেতা’ অথবা ‘সম্মানিত মার্শাল’ বলে অভিহিত করা হয়। তার পূর্বসূরিদের কীর্তি নর্থ কোরিয়ায় শিশুকাল থেকে সবার পাঠ্য এবং সবার ঘরেই তার বাবা এবং দাদার ছবি রাখা বাধ্যতামূলক! তার মতের বিরুদ্ধে গেলে সাধারণ মানুষ দূরের কথা নিজের সৎ ভাই এবং ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত সেনাপ্রধানকে হত্যা করতে দ্বিধা করেননি তিনি। তাদের সহ আরও অনেককে হত্যা করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এ কারণে তার বা তার পূর্বসূরিদের নাম ধরে ডাকার সাহস সে দেশে কারও নেই। তারই প্রতিফলন দেখা যায় ক্রীড়া উপমন্ত্রী ওন গিল-উর অভিব্যক্তিতে। একনায়কত্ব এবং ব্যক্তি পূজার চূড়ান্ত রূপে কীভাবে ব্যক্তি ইচ্ছা সবকিছু ধ্বংস করতে পারে এটা তার উদাহরণ। এখান থেকে সবার শেখার আছে বলে আমরা মনে করি।