ব্যাঙ্গালুরু (কর্নাটক), ভারত থেকে: দুই দেশের ক্রিকেট ম্যাচ কখনই লড়াই, যুদ্ধ বা ব্যক্তিগত রেষারেষির
প্রদর্শণী হতে পারে না। দিন শেষে এটি শুধুই একটা ক্রিকেট ম্যাচ। এর বাইরে
যত যা কিছু হয় এসব কিছুই সোশ্যাল মিডিয়া, নিউজ মিডিয়া এবং সমর্থকদের নিজস্ব
মানসিকতার প্রকাশ। এমনটা মনে করেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সহঅধিনায়ক সাকিব
আল হাসান।
সাকিবের সঙ্গে একমত পোষণ করে নিজেকে সোশ্যাল মিডিয়ামুক্ত এক
ক্রিকেটার হিসেবে মন্তব্য করেছেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের তারকা পেস বোলার আশিষ
নেহরাও।
ব্যাঙ্গালুরুতে ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচ উপলক্ষে আয়োজিত আইসিসির আনুষ্ঠানিক প্রিভিউ প্রেসকনফারেন্সে কথা বলেন সাকিব ও নেহরা।
ভারত-বাংলাদেশ ক্রিকেট ম্যাচ নিয়ে দর্শক-সমর্থকদের সীমাহীন আবেগ নিয়ে কোন মাথাব্যথা নেই বাংলাদেশ দলের। সাকিব মনে করেন ভারতীয় দলের অবস্থাও একই রকম।
সাম্প্রতিক সময়ে ভারত-বাংলাদেশের ম্যাচ নিয়ে তুমুল আলোচনা চলছে দুই দেশের অনলাইন এবং গণমাধ্যমে। তাসকিনের হাতে ধোনির কাটা মাথা। বিরাট কোহলির কুকুরের শরীরে মুস্তাফিজের মুখচ্ছবি। কিংবা রোহিত শর্মার আউট নটআউট, নো-বল বিতর্ক অথবা শিখর ধাওয়ানের ছক্কাক্যাচের বির্তক। এসব নিয়ে অসংখ্য ট্রল রয়েছে ফেইসবুক-টুইটারে।
মজা করার মানসিকতায় এসব হলেও কখনও কখনও তা আবেগ ছাড়িয়ে প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ ঘটায়।
নেহেরা তো প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেই দিয়েছেন, তিনি সোশ্যাল মিডিয়ামুক্ত মানুষ। তার কোনো ফেসবুক, টুইটার, ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্ট নেই।
হাসতে হাসতে নেহেরা বলেন, ‘আমি এখনো আমার পুরানো নোকিয়া হ্যান্ডসেট ব্যবহার করি।’
গত বছর ওয়ানডে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ভারতের কাছে বিতর্কিতভাবে পরাজিত হয়ে শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশের বিশ্বকাপ। এরপর থেকেই সাইবার প্রতিশোধের আগুনে পুড়ে সোশ্যাল মিডিয়া।
বিশ্বকাপ যন্ত্রণা শেষ হওয়ার তিন মাসের মধ্যেই অবশ্য হোম সিরিজের ভারতকে হারিয়ে ২-১এ সিরিজ জিতে নেয় বাংলাদেশ। অনলাইনে বাড়তে থাকে আরও বেশি ট্রলের সংখ্যা।
কিন্তু সাকিব নেহরা দুজনই বলেছেন এটা তাদের কাছে নিছকই একটা অক্রিকেটীয় ব্যাপার। বলার অপেক্ষা নেই ত্রিকেটটাকে ভালোবেসেই, ক্রিকেটের আবেগ থেকেই এসব করে থাকেন সমর্থকরা।
ভিডিওতে দেখুন সাকিব-নেহেরার প্রেস ব্রিফিং: