‘দিতি যেমন ছিলেন ভালো অভিনেত্রী, তেমনি একজন ভালোমানুষও। এমন দুটি গুণের অভিনেত্রী যুগে যুগে কমই মিলে।’ বললেন চিত্রনায়িকা পারভীন সুলতানা দিতির সহকর্মীরা। আজ ২০ মার্চ এই চিত্রনায়িকার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী। এ উপলক্ষে বিকালে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি এফডিসির জহির রায়হান কালার ল্যাব মিলনায়তনে ‘শিল্পী হৃদয়ে দিতি’ শিরোনামে স্মরণ সভা ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক আহমেদ শরীফ, সাবেক সভাপতি মিজু আহমেদ, চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির মহাসচিব বদিউল আলম খোকন, চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সহসভাপতি ওমর সানি, পরিচালক ও অভিনেতা সিরাজ হায়দার, এফডিসির ১৯৮৪ সালে নতুন মুখের সন্ধানে আয়োজনে দিতির সঙ্গে চলচ্চিত্রে অভিষেক হওয়া সুব্রত, আমির সিরাজী। উপস্থিত ছিলেন দিলারা, নাসরিন, শিল্পী, কেয়া, জায়েদ খান, ইমন, সায়মন, আসিফ নুর, নৃত্যপরিচালক মাসুম বাবুল। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অমিত হাসান।
আহমেদ শরীফ বলেন, ‘১৯৮৪ সালে এফডিসির উদ্যোগে নতুন মুখের সন্ধানে আয়োজনে দিতির সাক্ষাৎকার নিয়েছিলাম। সেই দিতি অভিনয়যোগ্যতায় পরে অনেক দূর এগিয়ে যায়। অথচ আজ তার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী। ভাবতেই অবাক লাগছে। তার মতো এমন অভিনেত্রী যুগে যুগে কমই মিলে।’
মিজু আহমেদ বলেন, ‘দিতি ভালো অভিনেত্রী তো ছিলেনই, তার চেয়েও বেশি পরিচিত ছিলেন ভালো মানুষ হিসেবে।’
বদিউল আলম খোকন বলেন, ‘আমার প্রথম ছবি “রাজাবাবু”তে তিনি অভিনয় করেন। কত কত স্মৃতি তাকে নিয়ে। এমন নিবেদিতপ্রাণ অভিনয়শিল্পী পাওয়া যায় না আজকাল।’
ওমর সানি বলেন, ‘দিতি আপার সঙ্গে কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করেছি। তবে তার বিপরীতে নয়। “চরম আঘাত” ছবিতে তার সঙ্গে প্রথম অভিনয় করি। তখন দেখেছি তার অভিনয় প্রতিভা। আরও একটি বিষয় আমাকে খুব আকর্ষণ করত, তা হলো তার ব্যক্তিত্ব।’
সুব্রত বলেন, ‘১৯৮৪ সালে আমরা একসঙ্গে চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু করি। দিতি আর আমার প্রথম ছবি শামসুল হুদার পরিচালনায়। চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড থেকে ছাড়পত্র পেলেও শেষ পর্যন্ত ছবিটি মুক্তি পায়নি। এছাড়া তার শেষ ছবিটিও আমার সঙ্গেই। “রাজাবাবু” ছবিতে তার বিপরীতে অভিনয় করেছি। তার সঙ্গে কত স্মৃতি জমা হয়ে আছে। শুধু এটুকুই বলব, দিতি, যেখানেই আছো, ভালো থেকো। ’
আলোকচিত্রী : সাকিব উল ইসলাম