চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

এমডিজি লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশের অবস্থান শীর্ষে

দরিদ্রতা, শিশুমৃত্যু ও মাতৃমৃত্যুর হার কমানোসহ এমডিজির ৮ খাতের প্রতিটিতেই উন্নতি করেছে বাংলাদেশ। এমডিজি লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশের অবস্থান শীর্ষে। অগ্রগতি প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে এসডিজিতেও বাংলাদেশ ভালো করবে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী।

শিক্ষা, স্বাস্থ্য, দারিদ্র, কর্মসংস্থান ও নারীর ক্ষমতায়নসহ ৮ খাতের উন্নয়নে ২০০০ সালে জাতিসংঘের ঘোষণা অনুয়ায়ী সহস্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষমাত্রা হাতে নেয় বাংলাদেশ। নির্ধারিত সময় শেষ হয়েছে চলতি বছর। এসব খাতের উন্নয়নের চিত্র নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়।

এমডিজির লক্ষ্য অনুযায়ী দারিদ্র্যের হার ২৯ শতাংশে নামিয়ে আনার কথা থাকলেও তা নেমে এসেছে ২৬ দশমিক ২ শতাংশে। শিশুমৃত্যুর হার প্রতি হাজারে ৪৮ জন হওয়ার কথা থাকলে বর্তমানে তা ৪৪। প্রতি লাখে মাতৃমৃত্যু ১’শ ৪৩ জনে নেমেছে।

এছাড়াও প্রাথমিক শিক্ষায় ভর্তির হার হয়েছে ৯৭ দশমিক ৭ ভাগ। এসব খাতে সফলতা আসলেও বাংলাদেশ কিছুটা পিছিয়ে আছে পরিবেশগত স্থিতিশীলতা অর্জন ও বিশ্বব্যাপি অংশীদারিত্ব গড়ে তোলায়।

এমডিজির লক্ষ্য অর্জন করে বাংলাদেশ যেমন সক্ষমতার পরিচয় দিয়েছে তেমনি দেখিয়েছে আন্তর্জাতিক অঙ্গীকার কিভাবে রক্ষা করতে হয়, বলেন পররাষ্টমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।

ইউএনডিপি’র কান্ট্রি ডিরেক্টর পলিন থেমেসিস বলেন, এমডিজিতে বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ এখন রোল মডেল। প্রতিটি খাতের উন্নতি করে বাংলাদেশ প্রমাণ করেছে তারা উন্নয়নের সঠিক পথেই আছে।

এমডিজির মতোই টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ রোল মডেল হবে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। তিনি বলেন, ‘এমডিজিতে আমরা যা অর্জন করেছি এখন চাই তা ধরে রাখতে। এসডিজির জন্য ইতিমধ্যে আমরা প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছি। এসডিজি অর্জন করে আমরা উন্নয়নের নতুন শিখরে যেতে চাই।’

২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ক্ষুধামুক্ত হবে আর ২০৪০ সালের মধ্যে মাথা উচু করে দাঁড়াবে উন্নত দেশ হিসেবে। সরকার সে পরিকল্পনা নিয়েই কাজ করে যাচ্ছি, এমনটাই বলেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ. হ. ম. মুস্তফা কামাল।

আগামী ২৫ থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে নির্ধারণ করা হবে ২০৩০ সাল পর্যন্ত ১’শ ৯৩ টি দেশের জন্য টেকসই উন্নয়ন বা এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা।