সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল বা এসডিজি বাস্তবায়নে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা বা অনৈক্য বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে মন্তব্য করেছে সিপিডি। এমডিজি সাফল্য গত ২০ বছরে সকল সরকারের মাধ্যমে জাতীয় অর্জন বলেও মন্তব্য করেছেন সিপিডির সম্মানিত ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
জাতিসংঘের ৭০তম সাধারণ অধিবেশনে বিশ্বের ১৯৩টি দেশের সর্বসম্মত উন্নয়ন পরিকল্পনা সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল বা এসডিজি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে অবস্থান তুলে ধরেছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) সংবাদ সম্মেলন করে। মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোলের অসম্পূর্ণতা তুলে ধরে এসডিজি বাস্তবায়নের পথে বাংলাদেশের নানা চ্যালেঞ্জের জানান সিপিডির সম্মানিত ফেলো ডক্টর দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে এমডিজির সাফল্য কোনো একক সরকারের নয়। ধারাবাহিকভাবে অন্তত ২০ বছর ধরে যারা দেশ শাসন করেছেন তারা সকলেই এই সাফল্যের ভাগীদার। আগামীদিনের সাফল্য নিশ্চিত করতে মূল ভূমিকা পালন করবে অভ্যন্তরীণ সম্পদ। সেজন্য কর আহরণের মাত্রা যেমন বাড়াতে হবে তেমনি সঠিক ব্যবহার এবং দেশের টাকা যেনো পাচার না হয়ে যায় সেদিকেও গুরুত্ব দিতে হবে।
কর্মসংস্থান সৃষ্টি, বনায়ন, গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ বাদে শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং শিশু ও মাতৃমৃত্যুহারে গত দেড় দশকে বাংলাদেশের অর্জন আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে স্বীকৃত উল্লেখ করে তিনি বলেন, এসডিজি বাস্তাবায়নে জবাবদিহিতা ও সবার অংশগ্রহণ থাকতে হবে।
ড. দেবপ্রিয় বলেন, এমন একটি কাঠামো তৈরি করতে হবে যেনো কর্মসূচী সৃষ্টিতে সবাই যেমন অংশগ্রহণ করেছে তেমনি এর বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও জবাবদিহিতাও নিশ্চিত করা হয়। সব ধরনের ব্যক্তি, গোষ্ঠি ও প্রতিষ্ঠানকে অংশগ্রহণের সুযোগ নিশ্চিত করে দিতে হবে।
এসডিজি বাস্তবায়নে আগামী দেড় দশকে যে বাড়তি অর্থ প্রয়োজন হবে সেখানে শিল্পায়নে বিনিয়োগের মাধ্যমে কর্মসংস্থান এবং অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার কোনো বিকল্প নেই বলেও পর্যবেক্ষণ দিয়েছে সিপিডি।