মিউজিক ইন্ডাষ্ট্রি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এমআইবি) নির্বাচন নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব এখন চরম। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আদেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য এমআইবিতে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়ার বিপরীতে হাইকোর্টে রীট করা হয়। হাইকোর্ট প্রশাসক নিয়োগের এই আদেশ স্থগিত করেছেন। এদিকে এমআইবি অফিসে তালা দেওয়া ও অন্য সদস্যদের সঙ্গে দূর্ব্যবহারের অভিযোগ এনে বর্তমান কমিটির বিরুদ্ধে রমনা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছে সংগঠনের আরেকটি পক্ষ।
গত ৭ মার্চ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাণিজ্য সংগঠন বিভাগের পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) আবদুল মান্নান স্বাক্ষরিত এক আদেশে মিরাজুল ইসলাম উকিলকে এমআইবিতে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। আদেশে বলা হয়, প্রশাসক আগামী ১২০ দিনের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করে নতুন কমিটির হাতে দায়িত্ব হস্তান্তর করবেন। মন্ত্রণালয়ের এ আদেশের বিপরীতে গতকাল সোমবার হাইকোর্টে রীট করেন এমআইবির বর্তমান কমিটি। এর প্রেক্ষিতে বিচারপতি নাইমা হায়দার মন্ত্রণালয়ের প্রশাসক নিয়োগ স্থগিত করেন। বর্তমান কমিটির পক্ষে রীট আবেদন করেন অ্যাডভোকেট আবদুল্লাহ মাহমুদ হাসান।
এমআইবির বর্তমান কমিটির নেতা সিডি চয়েসের কর্ণধার জহিরুল ইসলাম সোহেল বলেন, ‘বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আমাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা না করে একটি মহলের ইন্দনে প্রশাসক নিয়োগ দেয়। এর প্রেক্ষিতে আমরা আদালতে রীট করেছি। আমরা এমআইবির সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। আমরা অবশ্যই মন্ত্রণালয়ের দিকনির্দেশনা নিয়ে পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠানের রূপরেখা নির্ধারণ করব। তবে আমাদের আরও কিছু সময় প্রয়োজন।’
মন্ত্রণালয়ের আদেশে গতকাল সোমবার এমআইবির কার্যালয়ে অফিস করার কথা ছিল নতুন নিয়োগ পাওয়া প্রশাসক মিরাজুল ইসলাম উকিলের। কিন্তু তিনি যাননি। দুপুর আড়াইটার দিকে বর্তমান কমিটির দপ্তর সম্পাদক আবদুল্লাহ এমআইবির অফিসে যান। সেখানে আগে থেকেই উপস্থিত ছিল সংগঠনের আরেকটি পক্ষ। এ সময় দপ্তর সম্পাদক ও তাদের মধ্যে কাথা কাটাকাটি হয়। এর প্রেক্ষিতে রমনা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন রবিউল হাসান। যার জিডি নম্বর ১০৮৫। এতে বর্তমান কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ অন্য সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। অভিযোগে সংগঠনের অফিস দীর্ঘদিন তালা দিয়ে রাখা ও সদস্যদের সঙ্গে বর্তমান কমিটির নেতাদের দূর্ব্যবহারের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়।
উল্লেখ্য গত বছর ৫ ডিসেম্বর বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে নির্বাচন দিতে না পারায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত ৫ জানুয়ারি তারিখ পর্যন্ত বর্তমান কমিটির মেয়াদ বৃদ্ধি করে। এ সময় পার হয়ে হওয়ায় মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়।