কক্সবাজারের রামু উপজেলা খুনিয়াপালং ইউনিয়নের আবদুল জব্বার (২৮) নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে রোহিঙ্গারা। এ ঘটনায় রামু থানার পুলিশ ২ জনকে আটক করেছে বলে নিশ্চিত করেছেন রামু থানার ওসি এম লিয়াকত আলী।
শনিবার ভোরে খুনিয়া পালংয়ের ২ নং ওয়ার্ডের হেডম্যান পাড়ায় সামাজিক বনায়নের বাগান পাহারা দেয়ার সময় আবদুল জব্বারের উপর এই হামলার ঘটনা ঘটে।
রামু থানার ওসি এম লিয়াকত আলী জানান, নিহত জব্বার খুনিয়া পালংয়ের কালুয়ার খলীর হেডম্যান বশির আহমদের ছেলে। নিহতদের স্বজনদের দেয়া তথ্য মতে, শনিবার ভোরে খুনিয়া পালংয়ের ২ নং ওয়ার্ডের হেডম্যান পাড়ায় সামাজিক বনায়নের বাগান পাহারা দেয়ার সময় আবদুল জব্বারকে রোহিঙ্গা হাফেজ মোস্তফা ও তার ফুপি বেওয়ালা খাতুন কুপিয়ে আহত করে। পরে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে নেয়ার পথে তিনি মারা যান। এই ঘটনায় স্থানীয়দের সহযোগিতায় রোহিঙ্গা হাফেজ মোস্তফা ও বেওয়ালাকে আটক করেছে পুলিশ। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রাখা হয়েছে।
রামুর খুনিয়া পালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মাবুদ জানিয়েছেন, হাফেজ মোস্তফা, তার ফুপি বেওয়ালা গত ২ মাস আগে এসে ওই এলাকায় অবস্থান নিয়ে ছিলেন। তবে কি কারণে এ হত্যাকাণ্ড তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।।
ওসি লিয়াতক জানান, আটকদের জিজ্ঞাসাবাদের হত্যার কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। এব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
এর আগে শুক্রবার রাতে উখিয়ার বালুখালীতে রোহিঙ্গাদের হামলায় আহত হয়েছেন স্থানীয় ৪ জন। এছাড়া গত ১২/১৫ দিন আগে টেকনাফে পুলিশের এসআই এর উপর হামলা, ছুরিকাঘাত করে এক যুবককে হত্যা করেছে রোহিঙ্গারা।