রাজধানীর মিরপুরে কেরোসিনের আগুনে ঝলসে গেছে বাবুল মাতুব্বর নামে এক চা দোকানদার।
আগুনে তার শরীরের প্রায় ৯৫ শতাংশ পুড়ে গেছে বলে জানান চিকিৎসক।
পরিবারের অভিযোগ চাঁদা না পেয়ে পুলিশ বাবুলের গায়ে আগুন দিয়েছে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ।
মিরপুর এক নম্বর গুদারাঘাট এলাকার এই দোকানেই চা বিক্রি করতেন বাবুল মাতুব্বর। বুধবার রাতে অগ্নিদগ্ধ হলে তাকে ভর্তি করা হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, রাত সাড়ে নয়টার দিকে বাবুল মাতুব্বরের দোকানের সামনে একটি মাইক্রোবাস এবং দুই পুলিশ সদস্যকে দেখতে পায় তারা।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘বাইরে এসে দেখি দুইটা লোক পুলিশের। যে টাকা চাইছে সে কাপড় খুলে আগুন দিছে; তার তোর পুরো শরীর ঝলসে গেছে।’
তিনি আরো জানান, একটা মাইক্রোবাস এসে দাঁড়ায়। আর এরা চাঁদার জন্য আসে, না দিলেই এমন করে।
বাবুলের পুত্রবধূ মনি জানায়, বুধবার দুপুরে পুলিশের তিন সদস্য এসে তার শ্বশুড়ের কাছে চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে মাদক বিক্রির অভিযোগে তাকে ধরে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেয় পুলিশ।
শাহ্ আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ ব্যাপারে কোন কিছু না বললেও অভিযোগ অস্বীকার করেন ঘটনার তদন্তে আসা ওই থানার এক পুলিশ পরিদর্শক।
শাহ্ আলী থানা এসআই সাঈদ বলেন, সবাই একই কথা বলছে দেলোয়ার নাকি ওর সাথে ধস্তাধস্তি করছে। দেলোয়ার নামে কোনো কনস্টেবল আমাদের এখানে নেই।
বাবুল মাতুব্বরের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানান বার্ণ ইউনিটের চিকিৎসক। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বার্ণ ইউনিটের সহকারি রেজিস্ট্রার,ডা. গোবিন্দ বিশ্বাস বলেন, তার শরীরের শতকরা ৯৫ ভাগ পুড়ে গেছে। তার সাথে মুখমণ্ডল এবং শ্বাসনালীও পুড়ে গেছে। তার অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক। তবে আমরা তার চিকিৎসা দেওয়ার সাধ্যমতো চেষ্টা করছি ।
এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি। তবে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যের শাস্তি দাবি করেছেন বাবুল মাতুব্বরের পরিবারের সদস্যরা।