আড়াইদিনে টেস্ট ম্যাচ শেষ হওয়ায় শঙ্কাটা ছিলই। সেটাই সত্যি হল। আউটফিল্ডের পর এবার ডিমেরিট পয়েন্ট পেল মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের উইকেট। বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা টেস্টের ম্যাচ রেফারি ডেভিড বুনের দেয়া প্রতিবেদনের ভিত্তিতে হোম অব ক্রিকেটের উইকেটকে নিম্নমানের বলেছে আইসিসি। সঙ্গে যোগ করা হয়েছে একটি ডিমেরিট পয়েন্ট।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া টেস্টের পর আউটফিল্ডকে ‘বাজে’ আখ্যা দিয়ে হোম অব ক্রিকেটকে দুই ডিমেরিট পয়েন্ট দিয়েছিল আইসিসি। এবার যোগ হল আরও একটি। আইসিসির আইনে কোন ভেন্যু পাঁচ বছরের মেয়াদে পাঁচটি ডিমেরিট পয়েন্ট পেলে এক বছরের জন্য আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজন করতে পারে না। সেখানে ছয় মাসের মধ্যেই বাংলাদেশ পেল তিনটি ডিমেরিট পয়েন্ট।
ডেভিড বুন প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন, ঢাকা টেস্টের প্রথম দিন থেকেই বলে ঘূর্ণি ছিল। সঙ্গে ছিল অসমান বাউন্স। যে কারণে শুধু বোলাররাই সুবিধা পেয়েছে। ব্যাটসম্যানরা তাদের টেকনিক প্রদর্শন করতে পারেনি।
চট্টগ্রামে সিরিজের প্রথম টেস্টে ঠিক উল্টো কারণে একটি ডিমেরিট পয়েন্ট পেয়েছিল জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম। ৩১ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলা বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার সেই টেস্টে পাঁচদিনে রান ওঠে ১৫৩৩। পাঁচ সেঞ্চুরি ও ছয় হাফ সেঞ্চুরির ম্যাচে পঞ্চম দিনেও উইকেট ছিল ব্যাটসম্যানদের পক্ষে।
তখন ডেভিড বুন রিপোর্টে উল্লেখ করেন, ফাস্ট বোলারদের জন্য পিচে কোন মুভমেন্ট ছিল না, যেটি পুরো ম্যাচ জুড়ে ছিল। স্পিনারদের জন্য উইকেটে মাঝে মধ্যে নিচু টার্ন ছিল। কিন্তু ম্যাচের অগ্রগতির জন্য যা মোটেও যথেষ্ট নয়। ফলে পাঁচদিন ব্যাটিং করা ব্যাটসম্যানদের জন্য কঠিন কিছু ছিল না।