২০২০ সালে হলিউডের সবচেয়ে বেশি আয় করা সিনেমাগুলোর ১৬ শতাংশ ছিল নারী নির্মাতাদের তৈরি। এবছর নারী নির্মাতার সংখ্যা আরও বাড়বে বলে ধারণা করছেন গবেষকরা।
স্যান দিয়েগো স্টেট ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফোর দ্য স্টাডি অব ওমেন ইন টেলিভিশন অ্যান্ড ফিল্ম-এর গবেষনায় দেখা গেছে, ২০১৮ সালে হলিউডের সবচেয়ে বেশি আয় করা সিনেমাগুলোর মাত্র ৪ শতাংশ ছিল নারী নির্মাতাদের তৈরি। ২০১৯-এ ১২ শতাংশ এবং ২০২০-এ ১৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে এই সংখ্যা। অর্থাৎ, গত দুই বছরে হলিউডে সিনেমা নির্মাণের ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ অনেক বেড়েছে।
শুধু নির্মাতা নয়, সিনেমা সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কাজেও নারীদের অংশগ্রহণ বেড়েছে। গবেষণায় জানা গেছে। ২০২০ এর ১০০ সফল ছবির পেছনে কাজ করেছেন ২১ শতাংশ নারী নির্মাতা, প্রযোজক, লেখক, নির্বাহী প্রযোজক, সম্পাদক, চিত্রনাট্যকার। ২০১৯ সালে এই সংখ্যাটি ছিল ২০ শতাংশ। অর্থাৎ এক বছরে সিনেমা সংশ্লিষ্ট কাজে ১ শতাংশ নারীর অংশগ্রহণ বেড়েছে।
গত বছর মুক্তিপ্রাপ্ত ক্যাথি ইয়ান এর ‘বার্ডস অব প্রে’, কোল ঝাও-এর ‘নোম্যাডল্যান্ড’ প্রশংসা পেয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে। বছর জুড়ে আলোচনায় থাকা প্যাটি জেনকিংস এর ‘ওয়ান্ডার ওমেন ১৯৮৪’ মুক্তি পেয়েছে বছর শেষে। কেট শর্টল্যান্ডের ‘ব্ল্যাক উইডো’ গত বছর মুক্তির পাওয়ার কথা থাকলেও করোনাভাইরাসের কারণে মুক্তি পেছানো হয়েছে।
গবেষণায় বলা হয়েছে, হলিউডে নারীরা এখনও অনেক পিছিয়ে আছেন। কারণ হলিউডের এযাবতকালের সেরা ২৫০ সিনেমার তালিকার ৮০ শতাংশতেই নেই কোনো নারী নির্মাতা, ৭৩ শতাংশে নেই নারী লেখক, ৪১ শতাংশে নেই নারী নির্বাহী প্রযোজক, ৭২ শতাংশে নেই নারী এডিটর, ৯৪ শতাংশে নেই নারী চিত্রনাট্যকার
শুধু তাই নয়, ৬৭ শতাংশ ছবিতে ৫ জনেরও কম নারী চরিত্র দেখা গেছে, এমনটাই বলছে স্যান দিয়েগো স্টেট ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফোর দ্য স্টাডি অব ওমেন ইন টেলিভিশন অ্যান্ড ফিল্ম-এর গবেষণা। কইমই