চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

এফআর টাওয়ারে অগ্নিনির্বাপণের ব্যবস্থাপনা ছিল ‘আইওয়াশ’

ফায়ার সার্ভিসের তদন্ত প্রতিবেদন

বনানীর এফআর টাওয়ারের আগুনের ঘটনা নিয়ে ফায়ার সার্ভিসের তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই সময় সেখানে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থাপনা ছিল আইওয়াশ মাত্র। 

তদন্তকারী কর্মকর্তারা বলেছেন, এফআর টাওয়ারের রেকর্ডপত্রে বড় ধরনের গোঁজামিল পাওয়ার পর এখন তদন্তকাজে অসহযোগিতা করছে রাজউক। এজন্যে দলিল দস্তাবেজ খুঁজে বের করতে প্রয়োজনে রাজউক ভবনে তল্লাশি চালাতে আদালতের অনুমতি চাইবেন তারা।

আগুনে পুড়ে যাওয়া বনানী এফআর টাওয়ারের জমি ১৯৮৯ সালের গোড়ার দিকে ডিআইটির কাছ থেকে নিলামে কিনে নেন বুয়েট শিক্ষক এসএমএইচআই ফারুক। সেখানে ১৮ তলা ভবন নির্মাণের অনুমতি পান ২০০৩ সালে।

পরে নির্মাণকাজ শর্তসাপেক্ষে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান রূপায়ানের কাছে হস্তান্তর করেন। অসাবধানতাজনিত হত্যা মামলায় গ্রেপ্তারের পর ডিবির রিমান্ডে এই তথ্য দেন জমির মালিক ফারুক।

এর সমর্থনে পাওয়া কাগজপত্র এখন যাচাই করে দেখছেন গোয়েন্দারা বলে জানিয়েছেন ডিএমপি ডিসি মো.মশিউর রহমান।

ওই ভবন রক্ষণাবেক্ষণ কমিটিতে কাশেম গ্রুপের এমডি ও কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির সভাপতি একেএম তসবিরুল ইসলাম ও বুয়েট শিক্ষক এসএমএইআই ফারুক ছাড়াও যারা রয়েছেন তাদের সবাইকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন গোয়েন্দারা। তারা কেউই দায় এড়াতে পারেন না বলেছেন তদন্ত কর্মকর্তারা।

গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন জমির মালিক প্রকৌশলী ফারুক। ঘটনার পর থেকে পলাতক রূপায়ন গ্রুপের মালিককে খুঁজছে পুলিশ।

ওদিকে গ্রেপ্তারের পর জামিনে মুক্তি পাওয়া বিএনপি নেতা একেএম তসবিরুল ইসলামেরও হদিস পাচ্ছে না গোয়েন্দারা।

বিস্তারিত দেখুন ভিডিও রিপোর্টে