বাংলাদেশের সংগীতের ইতিহাস লিখতে গেলে এন্ড্রু কিশোরকে বাদ দিয়ে লেখা সম্ভব নয়। আমার মনে হয়, এমন সুরেলা কণ্ঠের শিল্পী হয়তো আগামি ১০০ বছরেও আমরা পাবো না!
এন্ড্রু কিশোর, আমি, কুমার বিশ্বজিৎ, খালিদ হাসান মিলু, শেখ ইশতিয়াক, আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল প্রত্যেকে আমরা সমসাময়িক। আমাদের মধ্যে শুরু থেকে একটা ভালো বন্ধুত্ব ছিল। আমাদের এইসব বন্ধুদের মধ্যে আমি এবং কুমার বিশ্বজিৎ ছাড়া আর কেউ বেঁচে নেই।
এন্ড্রু কিশোর সব সময় একজন গোছানো মানুষ ছিলেন। সিঙ্গাপুরে অসুস্থ থাকার সময় তিনি সবকিছু তার পরিবারকে বুঝিয়ে দিয়েছেন। কোথায় তাকে সমাহিত করতে হবে, তার সম্পত্তির ভাগ ভাগবাটোয়ারা সবকিছুই। মৃত্যুর আগে ফেসবুকে একটি পোস্ট দেয়া হয়। আমার ধারণা এন্ড্রু কিশোর দাদা বুঝি এই তার স্ত্রীকে এটি দিতে বলেছিলেন। তার মত বন্ধু, বড় ভাই, সংগীত যোদ্ধাকে হারিয়ে আমি খুবই মর্মাহত।
স্মৃতিচারণ: তপন চৌধুরী, সংগীতশিল্পী