দীর্ঘ ১৫ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টেনেছেন বলিউড অভিনেতা আমির খান ও তার স্ত্রী কিরণ রাও। এই তারকা দম্পতি এমন সিদ্ধান্ত নেবেন তা কল্পনায় ছিল না সিনেপ্রেমীদের। এতে অবাক হয়েছেন ও কষ্ট পেয়েছেন আমির খানের ভক্ত-অনুরাগীরা।
তবে তারা যেন আরও বেশি অবাক হয়েছেন বিচ্ছেদের পরের দিনই আমির-কিরণের হাসিমুখে হাত ধরে ক্যামেরার সামনে আসার ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পর!
ডিভোর্সের ঘোষণা দেয়ার পরের দিন পানি ফাউন্ডেশনের ইউটিউব পেজ থেকে লাইভে এসেছিলেন আমির-কিরণ। বিচ্ছেদের পর কাদা ছোড়াছুড়ি না করে একে অপরের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন আমির-কিরণ। ভিডিওতে আমির খান বলেছেন, ‘আপনাদের হয়তো খারাপ লেগেছে। ভালো লাগেনি, চমকে গেছেন। আমরা আপনাদের শুধু এটাই বলতে চাই যে আমরা একসঙ্গে সুখে আছি এবং এখনও এক পরিবার। আমাদের সম্পর্কে পরিবর্তন এসেছে কিন্তু আমরা একে অপরের পাশেই আছি।’
আমির-কিরণের এই বক্তব্য অনেকের প্রশংসা পেলেও নেটিজেনদের অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। বিচ্ছেদের পর এমন বক্তব্য মানায় না বলে মন্তব্য করেছেন অনেকেই। আবার কেউ কেউ বলেছেন, সুখেই যদি থাকেন, তবে বিচ্ছেদ কেন? নেটিজেনদের মতে, তারা বাস্তব জীবনেও যেন সিনেমার মতোই অভিনয় করছেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীরা আমির-কিরণের বিচ্ছেদ সহজ ভাবে নিতে পারেননি। অনেকেই বিচ্ছেদের সমালোচনা করেছে খুব মর্মাহত হৃদয়ে। অনেকে তাদেরকে ফিরে আসার আহ্বানও জানিয়েছেন। তবে সমালোচনা করতে গিয়ে অরুচিকর মন্তব্য করেছেন কিছু নেটিজেন।
তারকাদের বিচ্ছেদের পরে তাদের উদ্দেশে আক্রমণাত্মক মন্তব্য ছুড়ে দেয়ার প্রবণতা অবশ্য সব দেশেই আছে। বিশেষ করে নারী তারকাদের ক্ষেত্রে আক্রমণের মাত্রা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। এসব মন্তব্যকারীদের অধিকাংশ কুরুচিপূর্ণ ও পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতা দ্বারা আক্রান্ত। সংক্রামক ব্যাধির মতোই ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক মাধ্যমের এসব রুচিহীন চর্চা।
‘লগান’ এর সেটে আমির খানের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল কিরণ রাওয়ের। তিন বছর প্রেমের পর ২০০৫ সালের ২৮ ডিসেম্বর তাদের বিয়ে হয়। ২০১১ সালে তাদের প্রথম সন্তান আজাদের জন্ম হয়।
১৯৮৬ সালের ১৮ এপ্রিল রীনা দত্তকে বিয়ে করেছিলেন বলিউডের জনপ্রিয় তারকা আমির খান। তাদের দুই সন্তান, ছেলে জুনায়েদ আর মেয়ে ইরা। চলচ্চিত্রের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন রীনা দত্ত। ২০০২ সালের ডিসেম্বরে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়।