রাজধানীতে এটিএম জালিয়াতির ঘটনায় তিন বিদেশী নাগরিকসহ ৭ জন জড়িত থাকার বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছে ডিবি। সন্দেহভাজন আরও ২৬ জনকে নজরদারীতে রাখার কথা জানিয়েছেন ডিএমপির মুখপাত্র।
ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতির ঘটনা ধরা পড়ার পর পর জানা যায়, জালিয়াতি হয়েছে কার্ড ক্লোন করে। শুধু এটিএম বুথে নয়, বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের মেশিন ব্যবহার করেও আত্মসাৎ করা হয়েছে বিপুল অর্থ। আর এই কাজে সহযোগিতা করেছেন ওইসব প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারী।
ডিবির তদন্তে উঠে আসে দেশী-বিদেশী নাগরিকদের জড়িত থাকার প্রমাণ। এরই মধ্যে প্রধান আসামী বিদেশী নাগরিক পিউটর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। তদন্তে অনেক অগ্রগতি হয়েছে বলে দাবি ডিবির।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মো. মনিরুল ইসলাম জানান, ৬-৭ জনের সম্পৃক্ততা সম্পর্কে পুরোপুরি নিশ্চিত পুলিশ। এদের মধ্যে কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারীসহ অন্যান্য ব্যক্তিরা আছেন। জড়িত তিন বিদেশী প্রথম মামলা দায়ের হওয়ার আগেই বাংলাদেশ ত্যাগ করেন।
এছাড়াও কয়েকজন প্রবাসী বাঙালির নামও জবানবন্দীতে আছে। এদের ব্যাপারে যথাযথ আইনী প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থা নেয়ার চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।
এটিএম জালিয়াতির ঘটনায় পুলিশ কর্মকর্তারা জড়িত কি না সরাসরি জবাব দেননি মুখপাত্র।
তিনি বলেন, জবানবন্দীতে পিউটর বিচ্ছিন্নভাবে কয়েকজন ‘পরিচিত’ পুলিশ সদস্যের কথা বলেছে। তবে তাদের সঙ্গে পিউটরের ব্যবসায়িক সম্পর্ক আছে কিনা এ ব্যাপারে আদালতে আসামী কিছু বলে থাকলে সেই জবানবন্দী হাতে পাওয়ার পর যাচাই-বাছাই করা হবে।
জড়িত আরও বিদেশী নাগরিকদের খোঁজা হচ্ছে জানান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার।