চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

এখন কী করবেন মির্জা ফখরুল?

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট  ৮টি আসনে জয়লাভ করেছিল। যার মধ্যে ২টি গণফোরাম এবং ৬টি বিএনপির। তবে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে তা বাতিল করে নতুন নির্বাচনের দাবি জানিয়েছিল জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। এমনকি নির্বাচিত সদস্যরা শপথ নেবে না বলেও সিদ্ধান্ত জানিয়েছিল।

কিন্তু দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে শেষ পর্যন্ত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়া ৭ জন সদস্যই শপথ গ্রহণ করেন। যা শুরু হয়  ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা সুলতান মুহাম্মদ ‍মনসুরের (মৌলভীবাজার-২) হাত ধরে।

ধারাবাহিক নাটকীয়তার পর শপথ গ্রহণ করেন ধানের শীষের আরেকজন প্রার্থী ও গণফোরাম নেতা মোকাব্বির খান ( সিলেট-২)। গণফোরাম থেকে তাকে বহিস্কারের স্লোগান উঠে। কিন্তু দুদিন আগে গণফোরামের জাতীয় কাউন্সিলে ঠিকই উপস্থিত ছিলেন মোকাব্বির খান। এ নিয়ে অবশ্য দলটির ভেতরে তুমুল বাকবিতণ্ডা চলে।

২৫ এপ্রিল ঠাকুরগাঁও-৩ আসন থেকে নির্বাচিত বিএনপির সংসদ সদস্য জাহিদুর রহমান জাহিদ শপথগ্রহণ করলে দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। তবু বিএনপির এমপিদের শপথের মিছিল থেমে থাকেনি।

অবশেষে আজ সোমবার শপথ গ্রহণ করে মির্জা ফখরুল ইসলামকে একা করে দিলেন বিএনপির ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচিত চারজন সংসদ সদস্য।

শপথ নেওয়া চারজন হলেন- চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের মো. আমিনুল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের মো. হারুনুর রশীদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া এবং বগুড়া-৪ আসনের মোশাররফ হোসেন।

বিকেল ৫টা ৪৫ মিনিটে জাতীয় সংসদ ভবনে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী তাদের শপথ বাক্য পাঠ করান।

এখন শপথের বাইরে আছেন শুধুমাত্র বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শপথ নিবেন কিনা গত দুদিন আগে জানতে চাওয়া হলে তিনি স্পষ্ট বলেছিলেন, ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন হয়নি। রাতের আধারে ভোট চুরি করা হয়েছে। এই নির্বাচনে আমরা শপথ গ্রহণ করব না বলে দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি। যে নির্বাচন আমরা প্রত্যাখ্যান করেছি সে নির্বাচনে শপথ গ্রহণের প্রশ্নই উঠে না।

এরপর দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে যারা শপথ গ্রহণ করবেন তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলেও জানিয়েছিলেন মির্জা ফখরুল।

এখন প্রশ্ন হলো মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও শপথ গ্রহণ করবেন, নাকি ইস্পাত কঠিন হয়ে একা দাঁড়িয়ে থেকে বাকি চার জন সংসদ সদস্যের বেলায় দলীয় শাস্তি নিশ্চিত করবেন?