প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ডিজিটাল পদ্ধতির কারণে এখন আর কেউ কৃষকদের ঠকাতে পারবে না। ঘরে বসেই কৃষিপণ্যের বাজারমূল্য জানতে পারবে তারা। ডিজিটাল পদ্ধতির মাধ্যমে শুধু কৃষিসেবা দেওয়াই না, কৃষকরা পাবে কৃষিপণ্য ব্যবহারের পরামর্শও। পাবে আরো অনেক সহযোগিতা।
গণভবনে কৃষি বাতায়ন ও কৃষকবন্ধু ফোন সেবা উদ্বোধন করে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকের বাংলাদেশ ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’। তার প্রমাণ আমি আপনাদের (কৃষকদের) সঙ্গে ডিজিটালি কথা বলতে পারছি। এই পরামর্শ দিয়েছিলো আমার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। কৃষি বাতায়নে এখন কৃষকরা সবধরণের তথ্য পাবে আর কৃষকবন্ধু ফোন সেবার আওতায় কৃষি বিষয়ক যে কোনো সমস্যার সমাধান জানতে পারবেন। কৃষকের দোরগোড়ায় আমরা ডিজিটাল সেবা পৌঁছে দিতে চাই। সেজন্য কৃষি বাতায়ন তৈরি করা হয়েছে। কৃষকবন্ধু ফোন সেবা কর্মসূচিও চালু করতে যাচ্ছি। সাথী বাংলা স্মার্টফোন পদ্ধতিও নিয়ে আসছি। ফোন শুধু কথা বলার জন্যই নয়, কৃষির উন্নয়নেও কাজে আসবে।
তিনি আরও বলেন, যে দেশের মাটি এত উর্বর সেই দেশের মানুষ না খেয়ে থাকবে না। এটা বঙ্গবন্ধুও বলতেন। আমরা এখন কৃষি শিক্ষারও ব্যবস্থা করছি। কৃষকের ছেলে শিক্ষা নিয়ে আর কৃষিকাজে যাবে না, সেই মনোভাব যেন না থাকে। বাবা মায়ের কাছ থেকে যে পেশা পাওয়া সেটাকে আরো আধুনিক করে তুলতে পারলেই দেশের উন্নয়ন হবে। মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা দেওয়া একটি বড় কাজ। খাদ্য যোগানোর থেকে বড় কাজ আর কিছু হতে পারে না। সেভাবেই আমাদের কৃষিকে দেখতে হবে।
কৃষকবন্ধু ফোন সেবার আওতায় ৩৩৩১ নম্বরে ডায়াল করলেই কৃষি সম্পর্কে সকল তথ্য ও পরামর্শ পাওয়া যাবে ওই সেবা কার্যক্রমের মাধ্যমে।