আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সব ধরণের জ্বালানি তেলের দাম কমছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। রাজউকের অনুমোদন ছাড়া গড়ে উঠা আবাসিক কাম বাণিজ্যিক ভবনের গ্যাস এবং বিদ্যুৎ সংযোগ আগামী ৬ মাসের মধ্যে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হবেও জানান তিনি।
বুধবার দেশে ভেজাল জ্বালানি তেলের বিস্তার ও অবৈধ বেচাকেনা বন্ধে সরকার কী ধরণের ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে, তা নিয়ে আলোচনার করতে পেট্রোল পাম্প মালিকদের সঙ্গে জ্বালানী মন্ত্রণালয়ে এই বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, সারাদেশের এক হাজার ২শ’ পেট্রোল পাম্পের অনেক পাম্পই ভেজাল তেল বিক্রির সঙ্গে জড়িত।
বৈঠক শেষে নিজ দপ্তরে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সাংবাদিকদের বলেন, ভেজাল জ্বালানি তেল বিক্রি করা পেট্রোল পাম্পের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বৃহস্পতিবার থেকে সারাদেশে শুরু হবে অভিযান।
নসরুল হামিদ আরো বলেন, আমরা চেষ্টা করছি ধীরে ধীরে জালানি তেলের মুল্যকে আরো সাশ্রয়ী অবস্থায় নিয়ে যাওয়া যায় কিনা। আর আমরা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে চেষ্টা করবো একটি পরিপত্র দিতে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখন থেকে সরকার পেট্রোল এবং অকটেন আমদানি করবে না। দেশের গ্যাস সেক্টর থেকে আরোহিত তেল পরিশোধনের মাধ্যমে তা দিয়ে বাজারের চাহিদা মেটানো হবে। তিনধাপে সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম কমানো হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, আমরা অভিযান পরিচালনা করতে যাচ্ছি, যে সকল ভেজাল ও অনুমোদিত পেট্রল পাম্প ভেজাল তেল দেয়, তাদের লাইসেন্স সঙ্গে সঙ্গে বাতিল করা হবে। আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) থেকে এ অভিযান শুরু হবে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের কাছে রিপোর্ট আছে, ১২শ পেট্রল পাম্পের মধ্যে কারা কারা ভেজাল তেল ব্যবহার করছে।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী আশা করেন, জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় করার পর পরিবহনের ভাড়াও কমে আসবে।