সেনাবাহিনীর নির্যাতনের ফলে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা এক লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণে সহায়তা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে তুরস্ক। এছাড়াও দেশটি রোহিঙ্গাদের জন্য শিগগিরই ১৩টি আইটেমের সমন্বয়ে তৈরি ১০ হাজার প্যাকেট ত্রাণ সামগ্রী প্রদান করবে।
বাংলাদেশে সফররত তুরস্কের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও সহযোগিতা বিষয়ক সংস্থার সমন্বয়ক আহমেদ রফিক রোববার বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া এমপি’র সঙ্গে তার সচিবালয়ের অফিসকক্ষে সৌজন্য সাক্ষাত করার সময় এ কথা জানান।
বাসস জানিয়েছে, সাক্ষাতকালে তারা রোহিঙ্গা পরিস্থিতিসহ দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয়ে আলাপ করেন। আলোচনায় মিয়ানমারে রোহিঙ্গা নির্যাতনের বিষয়টিকে অমানবিক হিসেবে উল্লেখ করে দ্রুত এর সমাধান আশা করেন তারা।
ত্রাণমন্ত্রী জানান, একান্ত মানবিক কারণে বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গাদের এ দেশে আশ্রয় দিয়েছে। রোহিঙ্গা নিয়ে সরকারের মনোভাব ও অবস্থান আহমেদ রফিককে জানান মন্ত্রী।
অন্যদিকে তুরস্কের প্রতিনিধি জানান, রোহিঙ্গা সমস্যার সুষ্ঠু সমাধানে তুরস্ক বাংলাদেশের পাশে থাকবে। তখনই তিনি আশ্বাস দেন, তুরস্ক বাংলাদেশে পালিয়ে আসা এক লাখ রোহিঙ্গার জন্য আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করে দেবে। আশ্রয়কেন্দ্র নির্মানের স্থান নিয়ে আলোচনা করেন তারা।
আহমেদ রফিক বলেন, তুরস্ক শীঘ্রই ১৩টি আইটেমের সমন্বয়ে প্রস্তুতকৃত ১০ হাজার প্যাকেট ত্রাণ সামগ্রী প্রদান করবে। এগুলোর হস্তান্তর নিয়েও তারা কথা বলেন।
প্রতিনিধি আরও জানান, শিগগিরই তুরস্কের উপ-প্রধানমন্ত্রী রিসেপ আব্বাস বাংলাদেশ সফর করবেন। বাংলাদেশ তুর্কি উপ-প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাবে বলে তাকে জানান মন্ত্রী। সফরের কর্মসূচি নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে আলোচনা হয়।