দীর্ঘ একবছর নিজ স্ত্রীকে টয়লেটে আটকে রেখেছেন স্বামী নরেশ চন্দ্র। ভারতের রিশপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে বুধবার স্থানীয় নারী নিরাপত্তা ও বাল্য বিবাহ নিরোধ কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা রাজনি গুপ্তা ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করেন।
এনডিটিভিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আমরা খবর পাই যে এক নারীকে দীর্ঘ একবছর ধরে টয়লেটের মধ্যে আটক করে রাখা হয়েছে। আমি আমার দল দিয়ে সেখানে চলে যাই। পৌঁছে দেখি যা শুনলাম তা আসলেই সত্য। গৃহবধূকে উদ্ধার করার পর বুঝা যায়, তাকে বেশ কয়েকদিন ধরে খাবার দেয়া হয়নি।
রাজনি বলেন, নরেশের দাবি তার স্ত্রী মানসিকভাবে অসুস্থ। কিন্তু আমরা তার সঙ্গে কথা বলে দেখলাম সে সুস্থভাবেই সব কথার উত্তর দিচ্ছে। আমাদের দল নিশ্চিত করতে পারেনি সে মানসিকভাবে অসুস্থ কিনা। তাকে টয়লেট থেকে বেশ নোংরা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে আমরা তাকে পরিষ্কার করে দেই। এ বিষয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে বলে আশ্বস্ত করেছে আমাদের।
গৃহবধূর স্বামী নরেশ জানান, তার স্ত্রী মানসিকভাবে অসুস্থ। তাকে আমরা টয়লেটের বাইরে বসতে বলতাম। কিন্তু সে কোনো কথা শুনতো না। এরপর তাকে আমরা চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাই। কিন্তু কোনো উন্নতি হয়নি।
এনডিটিভি বলছে, নরেশের বক্তব্যের সঙ্গে পুলিশের অভিযোগপত্রের কোনো মিল নেই। অভিযোগে হচ্ছে, একবছরের বেশি সময় ধরে নরেশ তার স্ত্রীকে টয়লেটে আটকে রেখেছে। সেখান থেকে রজনী গুপ্তা ওই নারীকে উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, আমাদের কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আমরা এ বিষয়ে তদন্ত করবো। বলা হচ্ছে, ওই গৃহবধূ মানসিকভাবে অসুস্থ। আমরা চিকিৎসকের পরামর্শ নেবো এবং পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালনা করবো।