ঢাকার ধামরাই এবং রংপুরের মিঠাপুকুর থেকে শুক্রবার অপহৃত তিনি শিশুর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
নির্মম এ ঘটনার শিকার শিশুরা হলো ঢাকার ধামরাই উপজেলার চৌহাট ইউনিয়নের চর চৌহাট (দেলুটিয়া) গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে শাকিল মিয়া (১০), আবু বক্করের ছেলে ইমরান হোসেন (১১) এবং রংপুর শহরের আদর্শপাড়া এলাকায় ব্যবসায়ী মোছাদ্দেক হোসেন রাঙার ছেলে রাহিমুল ইসলাম রনক (সাড়ে ৪)।
এসব শিশুর অভিভাবকদের কাছে মোটা অঙ্কের অর্থ মুক্তিপণ হিসেবে দাবি করা হয়েছিলো। এরমধ্যে রনককে অপহরণ করা হয় প্রায় দুই মাস আগে।
ধামরাই থেকে অপহৃত হওয়া দুই শিশুর মরদেহ শুক্রবার রাত ৮টার দিকে মির্জাপুর উপজেলার ভাওড়া ইউনিয়নের কামারপাড়া ময়ুরভাঙ্গা এলাকার লেবু বাগান থেকে উদ্ধার করা হয়।
চতুর্থ শ্রেণীতে পড়া দুই শিক্ষার্থী গত বুধবার দুপুরে শাকিল ও ইমরান মির্জাপুরের হাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান দেখতে আসে। সেখান থেকে তারা নিখোঁজ হয়।
এর পরের দিন বৃহস্পতিবার বিকালে মোবাইল ফোনে অপহরণকারী পরিচয়ে দুইজনের পরিবারের সদস্যের কাছে এক লাখ টাকা করে মুক্তিপণ দাবি করা হয়।
ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধারের ১ ঘণ্টা পর রাত ৯টার দিকে রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার খোড়াগাছ ইউনিয়নের তেপানি পাথার এলাকার একটি জমি থেকে উদ্ধার করা হয় রাহিমুলের মরদেহ।
কোতয়ালী থানার ওসি আব্দুল কাদের জিলানী বলেন, ‘গলাকাটা মৃতদেহটি বস্তাবন্দী করে মাটি চাপা দিয়ে রাখা হয়েছিলো।’
তিনি জানান, গত ১ ডিসেম্বর দুপুরে রাহিমুলকে নিজ বাড়ি থেকে অপহরণ করা হয়েছিলো। এরপর তার বাবা গত ৩ ডিসেম্বর খালাতো ভাই মোবাশ্বের আলমকে আসামি করে একটি অপহরণ মামলা করেন।
ওসি দাবি করেন, টাকা লেনদেনের ঘটনা নিয়ে মোছাদ্দেকের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরকে রাহিমুলকে অপহরণ করা হয়।