চোটে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়া শন মার্শের পরিবর্ত হিসাবে অস্ট্রেলিয়া স্কোয়াডে ঢুকেছেন পিটার হ্যান্ডসকম্ব। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ চারের লড়াইয়ে প্রথম একাদশেও ঢুকে পড়ছেন তিনি, উসমান খাজার বদলে। কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গারের কথা যদি সত্যি হয়, তাহলে সেমির মতো গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চে বিশ্বকাপ অভিষেক হতে যাচ্ছে এ উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যানের। তবে হ্যান্ডসকম্ব নিশ্চিত হলেও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে একাদশে অনিশ্চিত গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।
এজবাস্টনে সেমিফাইনাল খেলতে নামার আগে অস্ট্রেলিয়া কোচ কার্যত হ্যান্ডসকম্বের খেলার বিষয়ে নিশ্চয়তা দিয়েছেন। মার্শের পর চোটের জন্য বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেছেন নির্ভরযোগ্য টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান খাজা। শন মার্শ দলের প্রথম পছন্দ না হলেও খাজা ছিলেন প্রথম একাদশের ‘আল্টিমেট চয়েস’। সুতরাং, খাজার পরিবর্তে নতুন কাউকে খেলাতেই হত। সেক্ষেত্রে টিম ম্যানেজমেন্ট আস্থা রাখছে হ্যান্ডসকম্বের উপরেই।
বিশ্বকাপের প্রাথমিক স্কোয়াডে না থাকলেও নির্বাচকদের বিবেচনায় ছিলেন হ্যান্ডসকম্ব। স্টিভেন স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নারকে স্কোয়াডে জায়গা করে দিতে গিয়ে তাকে বাইরে রাখতে হয় নির্বাচকদের। স্মিথরা আরন্তর্জাতিক ক্রিকেটে না ফিরলে অবধারিতভাবে শুরু থেকেই বিশ্বকাপ খেলতেন হ্যান্ডসকম্ব। অস্ট্রেলিয়া ‘এ’ দলের হয়ে ইংল্যান্ড সফরে রানের মধ্যে রয়েছেন তিনি। সে কারণেই তাকে টপঅর্ডারে খেলাতে চাইছে অজিরা।
ল্যাঙ্গার বলেছেন, ‘হ্যান্ডসকম্বের সুযোগ প্রাপ্য। বিশ্বকাপের দলে তার না থাকা অত্যন্ত দুঃখজনক ছিল। তার ভাগ্য খারাপ শুরু থেকে স্কোয়াডে থাকতে পারেনি। ফর্মে রয়েছে, অস্ট্রেলিয়া ‘এ’ দলের হয়ে রানও করেছেন। দলের মিডলঅর্ডারে ভারসাম্য এসেছে হ্যান্ডসকম্ব ফেরায়। তার টেম্পারমেন্ট অসাধারণ। স্পিনটাও দারুণ খেলে। ও সেমিফাইনালে অবশ্যই খেলবে।’
ল্যাঙ্গার এও জানিয়েছেন যে, সেমিফাইনালের আগে ফিটনেস টেস্টে পাস করেছেন অলরাউন্ডার মার্কাস স্টয়নিস। তার দলে থাকা নিয়েও সংশয় নেই। তবে ম্যাক্সওয়েলকে এজবাস্টনে খেলতে দেখা যাবে কিনা, তা নিয়ে নিশ্চিতভাবে কিছু জানাতে পারেননি অজি কোচ। বরং খাজার রিজার্ভ হিসাবে দলের ঢোকা ম্যাথু ওয়েডকে ম্যাক্সওয়েলের বদলে দেখা যেতে পারে।