চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

একমাত্র বার্সাতেই যেতে চান নেইমার

এমবাপে-কাভানির চোটে নাটকে নতুন মোড়

আকারে-ইঙ্গিতে বললেও পুরনো ক্লাব বার্সেলোনায় ফেরার ব্যাপারে এতদিন সরাসরি মুখ খোলেননি নেইমার। তাই দলবদলের ব্যাপারে বার্সাকে চাপে রেখেছিল তার ক্লাব পিএসজি। অন্যদিকে রিয়াল মাদ্রিদ-জুভেন্টাসের মতো জায়ান্ট ক্লাবগুলো ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডকে পাওয়ার দৌড়ে ছোটায় চাপ বেড়েছিল বার্সার। অবশেষে কাতালানদের জন্য খানিকটা সুখবর যে নিজের ইচ্ছের কথা মুখ ফুটে বলেছেন ২৭ বছর বয়সী তারকা। জানিয়েছেন, ক্লাব ছাড়লে কেবল পুরনো ক্লাবেই যেতে চান তিনি!

এই গ্রীষ্মের দলবদলের বাজার যেন একাই গরম করে রেখেছেন নেইমার। তাকে নিয়ে পিএসজি-বার্সার প্রস্তাব-পাল্টা প্রস্তাবের চক্করে পড়ে ভেস্তে যেতে বসেছে সেলেসাও তারকার প্যারিস ছাড়ার আশা। দলবদলের সময় প্রায় শেষ হয়ে আসছে। নেইমার নিজেও বুঝতে পারছেন তিনি নিজে এগিয়ে না আসলে জট খুলবে না সমাধানের।

মার্কা জানাচ্ছে, পিএসজি ডিরেক্টর লিওনার্দোর সঙ্গে এরইমধ্যে দেখা করেছেন নেইমার। বলেছেন, রিয়াল কিংবা জুভেন্টাসে যাওয়ার কোনো ইচ্ছা নেই তার। যদি যাওয়াই হয় তবে সেটা হতে হবে কেবল এবং কেবলমাত্র বার্সায়! যদিও এই বিষয়ে কোন সূত্রের কথা নিশ্চিত করেনি মার্কা।

নেইমারের কথা শুনেই হোক কিংবা নিজেদের প্রয়োজনের কথা ভেবে- বার্সাকে মোটামুটি সাধ্যের মধ্যে একটি প্রস্তাব দিয়েছিল পিএসজি। ফরাসি সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী নগদ ১০০ মিলিয়ন ইউরোর সঙ্গে নেলসন সেমেদোও ও উসমান ডেম্বেলেকে চেয়েছে প্যারিসের ক্লাবটি।

পিএসজির দেয়া টোপ বার্সা গিলবে কিনা এমন যখন পরিস্থিতি, তখন সব পাশার দান উল্টে দিতে চলেছে কাইলিয়ান এমবাপে ও এডিনসন কাভানির চোট। রোববার তুলুজের বিপক্ষে ৪-০ গোলে জেতা ম্যাচে একইসঙ্গে চোটে পড়েছেন পিএসজির দুই ফরোয়ার্ড।

চোটের প্রকার এমনই যে, মাঠে ফিরতে এমবাপের সময় লাগবে ৪ আর কাভানির ৩ সপ্তাহ। অর্থাৎ, এই সময়টাতে দল বাঁচাতে নেইমার ছাড়া আপাতত নির্ভরযোগ্য কোনো ফরোয়ার্ড নেই টমাস টুখেলের ভাণ্ডারে। তুলুজের বিপক্ষে যদিও খেলাননি ব্রাজিলিয়ান তারকাকে, কিন্তু আপাত পরিস্থিতিতে মনে হচ্ছে এখন তাকে না খেলিয়েও উপায় নেই পিএসজি কোচের!

যদি নেইমারকে খেলানোই হয় একমাত্র উপায়, তাহলে তাকে ছাড়বে কেন পিএসজি? এই প্রশ্নের উত্তরই এখন মুখ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে দল-বদলের বাজারে। এখন যত লোভনীয় প্রস্তাবই দিক না কেনো বার্সা, নিশ্চয় ঘর ফাঁকা রেখে নেইমারকে চলে যেতে দেবে না প্যারিসের ক্লাবটি!