চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

একদিনে এত মৃত্যু!

দেশের সড়ক-মহাসড়কে প্রাণের অপচয় এখন যেন নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। এমনই একাধিক মর্মান্তিক খবর এসেছে দিনভর। রাঙ্গামাটি সদর ও কাপ্তাই লেকে ইঞ্জিন চালিত বোট দুর্ঘটনা এবং ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের কাশিয়ানীর পোনা বাসস্ট্যান্ডে সড়ক দুর্ঘটনায় মোট ১৩ জন নিহত হয়েছেন। এসব ঘটনায় ২ জন নিখোঁজ এবং ১৫ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।

এরমধ্যে রাঙ্গামাটি সদরে ইঞ্জিন চালিত বোট দুর্ঘটনায় ৬ জন নিহত এবং কাপ্তাইয়ে অপর নৌ দুর্ঘটনায় ২ জন নিখোঁজ রয়েছে বলে চ্যানেল আই অনলাইনের প্রতিবেদনে জানা যায়। অন্যদিকে শুক্রবার সকালে গোপালগঞ্জ থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া ফাল্গুনি পরিবহন নামে একটি যাত্রীবাহী বাস কাশিয়ানীর পোনা বাসস্ট্যান্ডে পৌছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি নছিমন গাড়ির সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।

এতে ঘটনাস্থলে ১জন ও কাশিয়ানী হাসপাতালে ভর্তি করার পর ২ জন এবং গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় আরও ২ জনসহ মোট ৫ জন মারা যায় বলে ওই প্রতিবেদনে জানা গেছে।

এভাবে মানুষের অকাল প্রয়াণের বিষয়টি সত্যিই দুঃখজনক। কিন্তু সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে নানা ধরনের আইন ও নির্দেশনা থাকলেও দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সেগুলো মানা হয় না বললেই চলে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের নজরদারি ও কর্মতৎপরতা বাড়াতে হবে বলে আমরা মনে করি।

অন্যদিকে রাঙ্গামাটিসহ পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকা অপরূপ সৌন্দর্যের অন্যতম লীলাভূমি হওয়ায় সেখানে সবসময়ই পর্যটকের ভিড় থাকে। জেলা প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আরও সতর্ক থাকা উচিৎ পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয়ে।

দুর্ঘটনার পর শুক্রবার বিকেলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে কাপ্তাই হ্রদে দুর্ঘটনা রোধে হ্রদে পর্যটনবাহী বোটে লাইফ জ্যাকেট ও অতিরিক্ত যাত্রী বহনের ব্যাপারে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। এ তৎপরতা আগেই চলমান থাকলে দুর্ঘটনা হয়তো এড়ানো যেত। তাই এমন দুর্ঘটনা রোধে কঠোর ও যথাযথ নিয়মে তৎপর থাকতে আমরা সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।