বেতন-ভাতা-সম্মান ইস্যুতে আলোচনায় বসতে শিক্ষক নেতারা প্রস্তাব দিলেও অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে তাদের প্রবল আপত্তি। তাদের কাছে অবশ্য এখন পর্যন্ত আলোচনার কোনো সুস্পষ্ট প্রস্তাব আসেনি। তবে সরকারকে আলোচনায় বসার তাগিদ দিয়েছে সরকারে থাকা ১৪ দল। আর শিক্ষকদের আন্দোলনকে যৌক্তিক বলেছে বিএনপি।
শিক্ষকরা এতোদিন শুধু বেতন-ভাতা-সম্মানের কথা বলে আসলেও এখন তাদের আন্দোলনে যোগ হয়েছে অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য যাকে অনেক শিক্ষক ‘অনর্থক মন্তব্য’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের বক্তব্যের প্রতিবাদে এক ঘণ্টা দাঁড়িয়ে নিন্দা কর্মসূচী পালন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। সেসময় পরিস্থিতি আরো জটিল হওয়ার আগেই সুস্পষ্ট নির্দেশনা আসা প্রয়োজন বলে সতর্ক করেন শিক্ষক নেতারা।
তারা আলোচনার কথা বললেও তার মন্তব্যের কারণে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বসতে আপত্তির কথাও জানান।
তবে স্বতন্ত্র বেতন কমিশন গঠনের ঘোষণা দিতে সরকারের প্রতি আহবান জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ডক্টর এসএম মাকসুদ কামাল ।
‘যদি সে রকম ঘোষণা আসে তাহলে বর্তমান সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যে অস্থিরতা বিরাজ করছে সেটা বহুলাংশে কমে আসবে,’ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সরকার এ বিষয়ে নতুন করে কিছু বলেনি। মন্ত্রিসভায় নতুন পে-স্কেল অনুমোদনের দিনই জানানো হয়, বৈষম্য দূর করতে মন্ত্রিসভা কমিটি শিক্ষকদের বেতন-ভাতার বিষয়টি বিবেচনা করবে।
এরকম ঘোষণা থাকলেও সরকারকে আলাদাভাবে শিক্ষকদের সঙ্গে বসার তাগিদ দিয়েছে সরকারি জোট ১৪ দল। পাশাপাশি তারা শিক্ষকদেরকে কর্মবিরতিতে না যাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে।
শিক্ষকদের সঙ্গে সহানুভূতি প্রকাশ করে ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, আমরা তাদের আহবান জানাবো তারা যেনো কর্মবিরতি করে শিক্ষা কার্যক্রমকে ব্যাহত না করে সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসে সমস্যার সমাধান করেন।
অন্যদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রি.জে (অব.) আ স ম হান্নান শাহ শিক্ষকদের আন্দোলনকে যৌক্তিক হিসেবে উল্লেখ করে সরকারের সমালোচনা করেছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে এদিন অন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।