আগামী জাতীয় নির্বাচন একতরফাভাবে করতেই মিথ্যা-বানোয়াট মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়াসহ নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার, নির্যাতন ও হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার রাতে এক বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচনকে একতরফাভাবে নিজেদের অনুকূলে নিয়ে যাওয়ার জন্য রাষ্ট্রযন্ত্রের যথেচ্ছা ব্যবহার করে বিচার বিভাগকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে সরকার গ্রেপ্তার ও সাজাসহ নানামুখী নিপীড়ন-নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন সম্পূর্ণরূপে বানোয়াট, মিথ্যা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত একটি মামলায় বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য, সাবেক মন্ত্রী, স্বনামধন্য আইনজীবী ও দেশের বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়াকে সরকারের চক্রান্তে সাজা দেয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
ফখরুল বলেন, বর্তমান ভোটারবিহীন আওয়ামী সরকার বিএনপির জাতীয় নেতৃবৃন্দসহ সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে গ্রেফতারের পাশাপাশি আদালতের ঘাড়ে বন্দুক রেখে সাজা দিয়ে আটকিয়ে রাখছে। বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া বর্তমানে বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে গুরুতর অসুস্থ। স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা তার জন্য খুবই কষ্টসাধ্য। এমতাবস্থায় মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে কারাগারে আটক রাখা তার জীবনের ওপর বড় ধরণের হুমকি।
তিনি বলেন, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলামের মতো একজন সজ্জন রাজনীতিবিদকে সম্পূর্ণ বানোয়াট মামলায় আসামী করে সাজা দেয়ার অর্থই হলো বর্তমান সরকার এক অশুভ পরিকল্পনা অনুযায়ী অগ্রসর হচ্ছে। তাদের জনসমর্থন শূন্যের কোঠায় আসাতে তারা বিরোধী দলের ওপর চরম দমন-নীতির আশ্রয় নিয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব অবিলম্বে বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়ার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা ও সাজা প্রত্যাহারের জোর দাবি জানান।