কয়েকঘণ্টার অপেক্ষা ফুরলেই পর্দা উঠছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির এবারের আসরের। স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে উদ্বোধনী ম্যাচেই নেমে পড়বে ক্রিকেট দুনিয়ার নয়া ফেভারিট বাংলাদেশ। দিনটিতে ওভালের আকাশ কি রৌদ্রোজ্জ্বল থাকবে? ব্যাটসম্যানদের জন্য স্বস্তির ২২ গজ রচনায় যে রৌদ্রোজ্জ্বল দিনের প্রার্থনা জরুরী। তাতে নান্দনিক শটের পসরা বসিয়ে বাংলাদেশের কোন ব্যাটসম্যান হয়তো তুলে নেবেন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে টাইগারদের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি।
উপমহাদেশের সব দলই সুইংয়ের বিপরীতে সাবলীল নয়। আর রৌদ্রোজ্জ্বল না থাকার দিনে ইংল্যান্ডের কন্ডিশনে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেন পেসাররা। গতির সঙ্গে সুইয়ের পসরা সাজিয়ে ব্যাটসম্যানদের নাস্তানাবুদ করে ছাড়েন। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের জন্য এই সুইংয়ের মরণফাঁদ রচিত হতে পারে। ভারতের বিপক্ষে অনুশীলন ম্যাচেই সেটা দেখা গেছে। বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে তিনটায় শুরু ম্যাচে বাংলাদেশ তাই আবহাওয়াকে নিজেদের পক্ষেই চাইবে!
তেমনটা হলে হয়তো ২২ গজকে আপন করে নিতে খুব লড়তে হবে না তামিম, সৌম্য, মুশফিকদের। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা টাইগার ব্যাটসম্যানরা চেনা ছন্দে দেখা দিলে মিলে যেতে পারে আরেকটি সেঞ্চুরিও। ২০০৬ সালে ভারতের মাটিতে বসা আসরে বাংলাদেশের হয়ে একমাত্র সেঞ্চুরিটি করে আসনে একাকী বসে আছেন শাহরিয়ার নাফীস।
জয়পুরে ওই ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রতিযোগিতাটির ইতিহাসে নিজেদের একমাত্র জয়টিও পায় বাংলাদেশ। যাতে নাফীস অপরাজিত ১২৩ রানের ইনিংস খেলেন। ১৭ চার ও ১ ছয়ে ১৬১ বলে নিজের ইনিংসটি সাজান এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ওই শতকে ভর করে ৬ উইকেটে ২৩১ তোলে বাংলাদেশ। সাকিব ৩৬ ও হাবিবুল ৩০ রান করেন। পরে তিন বাঁহাতি স্পিনারে তোপে ১৩০ রানেই গুটিয়ে যায় জিম্বাবুইয়ানরা। সাকিব আল হাসান ১৮ রানে ৩টি, আব্দুর রাজ্জাক ১২ ও মোহাম্মদ রফিক ২৬ রানে ২টি করে উইকেট নেন। মাশরাফি ৭ ওভারে ২ মেডেনসহ মাত্র ১৬ রানে এক উইকেট নেন।
শুরুর দিকে ২০০০, ২০০২ ও ২০০৪ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে কোন সেঞ্চুরির দেখা পাননি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। ২০০৬তে সালে শাহরিয়ারের সেঞ্চুরির পর তো ২০০৯ ও ২০১৩ সালের আসরে খেলার সুযোগই পায়নি টাইগাররা। এবার নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম শক্তিশালী দল নিয়ে গেছে বাংলাদেশ। তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান, সৌম্য সরকার, মুশফিকুর রহীম, সাব্বির রহমান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদরা আছেন দুর্দান্ত ফর্মে। তাদের দিকেই তাকিয়ে থাকবে বাংলাদেশ।
এবার টাইগার স্কোয়াডে থাকা ক্রিকেটারদের সকলের সম্মিলিত সেঞ্চুরির সংখ্যা ২৩টি। সর্বোচ্চ সংখ্যক তামিমের ৮টি, আর সাকিব ৬টি সেঞ্চুরি নিয়ে দুইয়ে। তিনে থাকা মুশফিকের শতক ৪টি। ফর্মে থাকা এই তারকাদের কেউ আরেকটি তিন অংক ছুঁলেই সঙ্গী পেয়ে যাবেন শাহরিয়ার। হয়তো আরেকটি জয়ও। শাহরিয়ারের সেঞ্চুরিটির দিনেই তো প্রতিযোগিতাটির ইতিহাসে একমাত্র জয়টি মিলেছিল লাল-সবুজদের।