বার্মিংহাম থেকে: টানা খেলার ধকল কাটাতে বাংলাদেশ দল বিশ্রামের পর্যাপ্ত সময় পেয়েছে বার্মিংহাম এসে। আইসিসির অদ্ভুত সূচিই করে দিয়েছে সুযোগটা। সাউদাম্পটনে আফগানিস্তান ম্যাচের পর ভারতের বিপক্ষে নামার আগে পুরো ৭ দিনের বিরতি। বিসিবিও পড়ে নিয়েছে খেলোয়াড়দের শারীরিকভাষা। দিয়ে দিয়েছে চার দিনের ছুটি। সেটি শেষ হচ্ছে শনিবার। রোববার স্থানীয় একটি মাঠে অনুশীলন শুরু করবে টিম টাইগার্স।
ছুটিতে দলের সিনিয়র-জুনিয়র ক্রিকেটাররা ঘুরে বেরিয়েছে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন শহরে। বার্মিংহাম ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলসের মধ্যাঞ্চল হওয়ায় ভ্রমণ করাও সহজ হয়েছে। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত অবশ্য কোথাও যাননি। টিম হোটেল হায়াত রিজেনসিতে নিজের কক্ষেই কাটিয়েছেন সময়। খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া বেরও হননি। পরিচিত কেউ দেখা করতে এলে নেমেছেন হোটেল লবিতে। ক্লান্তি কাটাতে শুয়ে-বসেই কাটিয়েছেন সময়টা।
শুক্রবার বিকেলে মোসাদ্দেক নেমে এলেন হোটেলের নিচে। বললেন, ‘অনেকদিন হয়ে গেছে দেশের বাইরে আছি। আর টানা খেলে আসছি সেই আয়ারল্যান্ড থেকেই। শরীরকে তাই বিশ্রাম দিচ্ছি। দূরে কোথাও যাইনি।’
বিদেশ বিভূঁইয়ে বাংলাদেশ দলের ১২ ক্রিকেটারের কেটে গেছে পাক্কা দুই মাস। ১ মে আয়ারল্যান্ড সফর দিয়ে শুরু হয়েছিল যাত্রা। সেখানে ত্রিদেশীয় সিরিজ জিতে ইংল্যান্ডে এসে অনুশীলন, প্রস্তুতি ম্যাচ, বিশ্বকাপের সাত ম্যাচ।
শনিবার টিম হোটেলে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মোসাদ্দেক বললেন বিশ্রাম কতটা দরকার ছিল, ‘আসলে যেভাবে (টানা) আমরা ম্যাচ খেলছিলাম, এমন বড় টুর্নামেন্টের মাঝে একটা ব্রেক দরকার ছিল। সেটা সবাই কাজে লাগিয়েছে। সবাই এখন হোটেলে ফিরে আসছে। কাল থেকে প্র্যাকটিস শুরু করবে, ব্রেকটা দরকার ছিল।’
সামনের দুটি ম্যাচ নিয়েই এখন ভাবনা বাংলাদেশের। ৫ জুলাই লর্ডসে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটা অঘোষিত কোয়ার্টার ফাইনালে রূপ দিতে হলে মঙ্গলবার এজবাস্টনে হারাতেই হবে ভারতকে।
বিশ্বকাপের অন্যতম ফেভারিট দলের বিপক্ষে নামবে বাংলাদেশ। তবে কোহলি-ধোনির দলকে আলাদা চোখে দেখার সুযোগ নেই বলে মনে করেন মোসাদ্দেক, ‘টুর্নামেন্টে এমন একটা পর্যায়ে আমরা আছি, তাতে ভারত বা অন্য কোনো টিমকে নিয়ে আলাদা করে চিন্তা করার সময় আমাদের আছে বলে মনে করি না। ভারত অবশ্যই শক্তিশালী প্রতিপক্ষ। আমারা যে ক্রিকেট খেলছি ওটা খেলতে পারলে ভালো কিছুই হবে।’