চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

একখণ্ড জমিও যেন অনাবাদি না থাকে: প্রধানমন্ত্রী

করোনাভাইরাস পরবর্তী বিশ্বব্যাপী যে দুর্ভিক্ষের আশঙ্কার কথা বিশ্ব নেতারা জানিয়েছেন, তা থেকে রক্ষা পেতে দেশের একখণ্ড জমিও অনাবাদি না রাখতে সবার প্রতি আহবান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার বিকেলে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে বক্তৃতাকালে তিনি এ আহ্বান জানান।

তিনি বলেন: সারা বিশ্ব করোনায় স্থবির হয়ে পড়েছে। জাতিসংঘসহ বিশ্বের অনেকেই দুর্ভিক্ষের আশঙ্কার কথা জানিয়েছে। আমাদের উর্বর মাটি আছে, তাই এই সময় যে যেভাবে পারেন- ফলমূল, শাকসবজি আবাদ করুন। এই সময় আমাদের কৃষি উৎপাদন অব্যাহত রাখতে হবে।

তিনি জানান: কৃষি ঋণের হার ৫ শতাংশ করা হয়েছিল, তা কমিয়ে ৪ শতাংশ করা হয়েছে। আমাদের খাদ্য নিরাপত্তার জন্য কৃষকদের নানা ধরণের প্রণোদনা দেয়া অব্যাহত রয়েছে। এসময় যারা বাড়িতে অবসরে সময় কাটাচ্ছেন তাদেরকে বিশেষ করে ছাত্রদের ধান কাটতে সহায়তা করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন: করোনা পরবর্তী অর্থনৈতিক মন্দা মোকাবিলায় ৩ বছর মেয়াদি তিনটি প্রণোদনা পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে ৯৫ হাজার ৬শ’ ১৯ কোটি টাকার প্রণোদনা দেয়া হয়েছে।

পৃথিবীর অনেক দেশের তুলনায় করোনা পরিস্থিতি বাংলাদেশে এখন ভালো উল্লেখ করে তিনি বলেন: করোনাভাইরাসে বিশ্বের ২০৯টি দেশ ও অঞ্চলে এখন পর্যন্ত সাড়ে ২২ লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন প্রায় এক লাখ ৫৪ হাজার ৭১৪ জন। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন সাড়ে পাঁচ লাখের বেশি মানুষ।

এ ধরণের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ অপরিচিত, এ পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারের নেয়া নানা পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে তিনি জানান: সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) করোনা মোকাবেলায় কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। সরকারিভাবে করোনার পরীক্ষা করা হচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় থার্মাল স্ক্যানার ব্যবহার করা হচ্ছে। করোনা মোকাবেলায় জাতীয় কমিটি করা হয়েছে। এছাড়া জেলা, উপজেলা পর্যায়ে কমিটি করা হয়েছে।

তিনি বলেন: করোনা পরীক্ষার ৭২ হাজার কিট এখনো সংরক্ষণ রাখা হয়েছে। ইতিমধ্যে ২২ হাজার বিতরণ করা হয়েছে। সার্বক্ষণিক সহায়তার জন্য তিনটি হটলাইন চালু করা হয়েছে, ৩৩৩ হটলাইনে খাদ্য সামগ্রী সহায়তা পাওয়া যাচ্ছে।

এছাড়া ইতিমধ্যে ৫০ লাখ মানুষকে খাদ্য সহায়তার জন্য কার্ড করে দেয়া হয়েছে। আরো ৫০ লাখ কার্ড করতে ত্রাণ ও  দুর্যোগ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এই এক কোটি কার্ডের মাধ্যামে প্রায় ৫ কোটি মানুষ খাদ্য সহায়তা পাবে। এছাড়া করোনা রোগীর চিকিৎসায় দেশে প্রায় ৬ হাজার ২০০টি আইসোলেশন প্রস্তুত রয়েছে। ঢাকায় কয়েকটি সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল প্রস্তুত করা হয়েছে।

এর আগে বক্তব্যের শুরুতে তিনি সাবেক ভূমিমন্ত্রী শামছুর রহমান শরীফ ডিলুর মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব সমর্থন করে তার স্মৃতিচারণ করেন।