চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

একই ম্যাচে রেকর্ড জিদান-রোনালদোর

বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগের এক ম্যাচেই রেকর্ড গড়েছেন রিয়াল মাদ্রিদের দুজন। এতে কোচ জিনেদিন জিদানের সঙ্গে যোগ দেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ম্যাচে ২-২ গোলে ড্র করে দুই লেগে মিলিয়ে ৪-৩ ব্যবধানে ফাইনালে উঠে লস ব্লাঙ্কোসরা।

টানা তৃতীয়বার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠে জিদান স্পর্শ করেছেন তার সাবেক গুরু মার্সেলো লিপ্পিকে। গুরু-শিষ্য ছাড়া এই কীর্তি আছে শুধু ইতালিয়ান কোচ ফ্যাবিও ক্যাপেলোর।

ক্যাপেলোর অধীনে এসি মিলান ১৯৯৩, ১৯৯৪ ও ১৯৯৫ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে টানা তিন ফাইনালের দেখা পেয়েছিল। জুভেন্টাসের হয়ে পরের তিন বছর ঠিক একই কীর্তি গড়েন লিপ্পি। ২০ বছর পর এবার তাদের অর্জনে ভাগ বসালেন জিদান।

তবে রিয়াল কোচ একটি জায়গায় ক্যাপেলো-লিপ্পিকে ছাড়িয়ে গেছেন। জিদানের মতো কোচ হিসেবে নিজের প্রথম তিন মৌসুমেই তিন ফাইনালের দেখা পাননি এই দুই ইতালিয়ান। কোচ জিদানের অধীনে চ্যাম্পিয়নস লিগের নকআউট পর্বেও রিয়াল কখনো হারেনি।

কোচের দিনে রেকর্ড গড়েছেন তার ছাত্র রোনালদোও। ক্যারিয়ারে এদিন ১৫২তম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ম্যাচে মাঠে নেমেছিলেন তিনি। ইউরোপা সেরার আসরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ম্যাচে অংশ নেয়া খেলোয়াড় এখন সিআর সেভেন। এদিন তিনি ছাড়িয়ে যান স্পেন ও বার্সেলোনার ‘মিডফিল্ডার জেনারেল’ খ্যাত জাভি হার্নান্দেজকে।

রোনালদো সামনে আছেন কেবল তারই সাবেক সতীর্থ ইকার ক্যাসিয়াস। রিয়াল মাদ্রিদ ও স্প্যানিশ গোলকিপার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সর্বোচ্চ ১৬৭ ম্যাচে খেলেছেন। ২০১৯-২০ মৌসুমে হয়তো ক্যাসিয়াসকে ছাড়িয়ে যাবেন পর্তুগিজ তারকা।

বায়ার্নের বিপক্ষে আগের সপ্তাহের প্রথম লেগেই আরেকটি রেকর্ড গড়েন রোনালদো। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি জয়ের স্বাদ পাওয়া খেলোয়াড় হন তিনি। এছাড়া টানা ১১ ম্যাচে গোল করার রেকর্ডও গড়েন পাঁচবারের ব্যালন ডি অর জয়ী তারকা।