মুম্বাই (ভারত) থেকে: পাঁচ বছর পর আবারও সেই ওয়াংখেড়ে। আজ থেকে ১৮২৬ দিন আগে এখানকার এই ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের ওই দিনটির কথা যে কখনোই ভুলবে না ভারতবাসী। সেদিনটি স্বর্ণাক্ষরে খোদাই করে লেখা প্রতিটা ভারতীয়র হৃদয়ে।
সেরকম একটি চিত্রনাট্যের পুনর্মঞ্চায়ন কি আজ করতে পারবেন ভারতীয়দের এখনকার বিরাট নায়ক বিরাট কোহলি? নাকি ক্যারিবীয় ঝড়ে ভারতীয়দের স্বপ্ন আর হৃদয় ভেঙ্গে দেবেন দানবীয় ক্রিস গেইল!
কাঁটায় কাঁটায় ঠিক পাঁচ বছরের চেয়ে দু’দিন কম সেই দিনটি ছিলো ২০১১ সালের ২ এপ্রিল। ওয়ানডে ক্রিকেট বিশ্বকাপের গ্র্যান্ড ফাইনালে শ্রীলংকাকে হারিয়ে দ্বিতীয়বার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ইতিহাস গড়েছিলো ভারত।
বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরবের চেয়েও সেদিন বড় হয়ে দেখা দিয়েছিলো শচিন টেন্ডুলকারের বিশ্বকাপ ছুঁয়ে দেখতে পারার তৃপ্তি। নিজ গুণে ক্রিকেটের সব রেকর্ডেই নিজের নাম জুড়ে দিলেও শুধু একটা বিশ্বকাপ জিততে না পারার আক্ষেপ পেয়ে বসেছিলো শচিন টেন্ডুলকারকে। স্বপ্ন সার্থক হওয়ার পর সতীর্থদের কাঁধে চড়ে শ্যাম্পেনের ফোয়ারায় পুরো ওয়াংখেড়ে প্রদক্ষিণ করেছিলেন শচিন রমেশ টেন্ডুলকার।
এরপর দেখতে দেখতে কেটে গেছে পাঁচ বছর। বিশ্ব ক্রিকেটে শচিন টেন্ডুলকার এখন শুধুই ইতিহাসের এক বর্ণাঢ্য অধ্যায়।
নিজ মাঠে টিম ইন্ডিয়ার নীলজার্সিতে আজ থাকবেন না শচিন টেন্ডুলকার, তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে ওয়ার্ল্ড টি-২০ সেমিফাইনালের এ ম্যাচে ক্রিকেট ঈশ্বর থাকবেন গ্যালারিতে। সেটা হয়তো দেখা যাবে সন্ধ্যায়, আপাতত: সকলের মন ম্যাচ নিয়ে সব জল্পনা-কল্পনায়।
ওয়াংখেড়ের এ ম্যাচটি কি শুধুই একটি সেমিফাইনাল? এখানে বিজয়ীরা ফাইনাল খেলবে আর পরাজিতরা বিদায় নেবে, ব্যাপারটা কি শুধুই তাই! অবশ্যই না। আজকের ভারত-উইন্ডিজ ম্যাচটি অনেক হিসাব, অনেক আবেগ, অনেক নাটক, অনেক রোমাঞ্চ, অনেক প্রতিশোধ এবং অনেক বেশি ইতিহাস তৈরিরও এক ম্যাচ।
আজকের ম্যাচে জয় মানেই সহজ হিসাব। ৩ এপ্রিলের ফাইনালের জন্য ইডেনের টিকিট কাটা। কিন্তু এর উল্টো হলে…
হতে পারে অনেক কিছুই। ভারতের পরাজয় মানে ভারতে টি-২০ বিশ্বকাপ, ২০১৬ একরকম শেষ। স্বাগতিক দেশ হয়ে প্রথমবার টি-২০ বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়াও জলে যাবে। এ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শেষ হয়ে যেতে পারে ক্যাপ্টেন এমএস ধোনির টি-টুয়েন্টির ক্যাপ্টেনসিও। অন্তত বিরাট কোহলীর সাম্প্রতিক ‘আস্থাশীলতা’ সেটি আরও জোড়ালো করেছে। তাই হলে বিশ্বকাপে ধোনির নেতৃত্বও শেষ হবে।
ধোনির মতো খাদের কিনারায় তো ক্রিস গেইলও। তার দল হেরে গেলে এটিই শেষ বিশ্বকাপ ম্যাচ হবে ক্যারিবীয় দানবের। শুধু গেইল আর ধোনির নাম কেনো! ড্যারেন স্যামি, মারলন স্যামুয়েলস, আশিষ নেহরা, যুবরাজ সিং, হরভজন সিং, রবিচন্দন অশ্বিন তারাও কি আর বিশ্বকাপে থাকবেন? সম্ভাবনা একেবারেই শূন্যের কোটায়।
আজ হেরে যাওয়া মানে প্রথম দল হিসেবে দ্বিতীয়বার টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগটা এক ম্যাচ আগেই হারিয়ে ফেলা। ২০০৭ সালে প্রথমবার টি-২০ বিশ্বকাপ জিতে নিয়েছিলো ভারত। এরপর আর পাঁচ আসরে সুবিধা করতে পারেনি ধোনিরা। তাই আজ পরাজয় মানে টিম ইন্ডিয়ার জন্য দ্বিতীয় শিরোপা জয়ের অপেক্ষাটা ১৩ বছরের করে ফেলা।
কারণ আগামীতে টি-২০ বিশ্বকাপটা হবে চার বছর পর। এখন থেকে আইসিসি তাই করতে যাচ্ছে। ওয়ার্ল্ড টি-২০’র পরবর্তী আসর ২০২০ সালে অস্ট্রেলিয়ায়।
একই হিসাব ক্যারিবীয়দের বেলায়ও যাবে। তাদের অপেক্ষাটা হবে আট বছরের। ২০১২ তে শ্রীলংকার মাটিতে লংকানদের হারিয়েই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন ক্রিস গেইলরা।
আর ২০১১তে ওয়ানডে বিশ্বকাপের শেষটা হয়েছিলো এমএস ধোনির ছক্কায়। সেদিন ম্যাচ জয়ের নায়ক হলেও সব আলো একাই কেড়ে নিয়েছিলেন শচিন টেন্ডুলকার। আজ কি ধোনির জন্য কেউ তা করবেন? করলে সেটা সবচে ভালো মানাবে বিরাট কোহলিকেই। নাকি ধোনিই পারবেন নিজের আলো নিজের দিকে টেনে রাখতে। নাকি ক্রিস গেইল ঝড় তুলবেন ওয়াংখেড়েতে, সেই ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হবে এমএস ধোনির সব স্বপ্ন! ধোনি না গেইল, কে যাচ্ছেন ইডেনে আর কারা শেষ করছেন এই ওয়াংখেড়েতেই? শেষটা যাই হোক, একদিকে উল্লাসের বিপরীতে অন্যপক্ষে থাকবে চোখের জল।
মুম্বাই (ভারত) থেকে: পাঁচ বছর পর আবারও সেই ওয়াংখেড়ে। আজ থেকে ১৮২৬ দিন আগে এখানকার এই ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের ওই দিনটির কথা যে কখনোই ভুলবে না ভারতবাসী। সেদিনটি স্বর্ণাক্ষরে খোদাই করে লেখা প্রতিটা ভারতীয়র হৃদয়ে।
সেরকম একটি চিত্রনাট্যের পুনর্মঞ্চায়ন কি আজ করতে পারবেন ভারতীয়দের এখনকার বিরাট নায়ক বিরাট কোহলি? নাকি ক্যারিবীয় ঝড়ে ভারতীয়দের স্বপ্ন আর হৃদয় ভেঙ্গে দেবেন দানবীয় ক্রিস গেইল!
কাঁটায় কাঁটায় ঠিক পাঁচ বছরের চেয়ে দু’দিন কম সেই দিনটি ছিলো ২০১১ সালের ২ এপ্রিল। ওয়ানডে ক্রিকেট বিশ্বকাপের গ্র্যান্ড ফাইনালে শ্রীলংকাকে হারিয়ে দ্বিতীয়বার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ইতিহাস গড়েছিলো ভারত।
বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরবের চেয়েও সেদিন বড় হয়ে দেখা দিয়েছিলো শচিন টেন্ডুলকারের বিশ্বকাপ ছুঁয়ে দেখতে পারার তৃপ্তি। নিজ গুণে ক্রিকেটের সব রেকর্ডেই নিজের নাম জুড়ে দিলেও শুধু একটা বিশ্বকাপ জিততে না পারার আক্ষেপ পেয়ে বসেছিলো শচিন টেন্ডুলকারকে। স্বপ্ন সার্থক হওয়ার পর সতীর্থদের কাঁধে চড়ে শ্যাম্পেনের ফোয়ারায় পুরো ওয়াংখেড়ে প্রদক্ষিণ করেছিলেন শচিন রমেশ টেন্ডুলকার।
এরপর দেখতে দেখতে কেটে গেছে পাঁচ বছর। বিশ্ব ক্রিকেটে শচিন টেন্ডুলকার এখন শুধুই ইতিহাসের এক বর্ণাঢ্য অধ্যায়।
নিজ মাঠে টিম ইন্ডিয়ার নীলজার্সিতে আজ থাকবেন না শচিন টেন্ডুলকার, তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে ওয়ার্ল্ড টি-২০ সেমিফাইনালের এ ম্যাচে ক্রিকেট ঈশ্বর থাকবেন গ্যালারিতে। সেটা হয়তো দেখা যাবে সন্ধ্যায়, আপাতত: সকলের মন ম্যাচ নিয়ে সব জল্পনা-কল্পনায়।
ওয়াংখেড়ের এ ম্যাচটি কি শুধুই একটি সেমিফাইনাল? এখানে বিজয়ীরা ফাইনাল খেলবে আর পরাজিতরা বিদায় নেবে, ব্যাপারটা কি শুধুই তাই! অবশ্যই না। আজকের ভারত-উইন্ডিজ ম্যাচটি অনেক হিসাব, অনেক আবেগ, অনেক নাটক, অনেক রোমাঞ্চ, অনেক প্রতিশোধ এবং অনেক বেশি ইতিহাস তৈরিরও এক ম্যাচ।
আজকের ম্যাচে জয় মানেই সহজ হিসাব। ৩ এপ্রিলের ফাইনালের জন্য ইডেনের টিকিট কাটা। কিন্তু এর উল্টো হলে…
হতে পারে অনেক কিছুই। ভারতের পরাজয় মানে ভারতে টি-২০ বিশ্বকাপ, ২০১৬ একরকম শেষ। স্বাগতিক দেশ হয়ে প্রথমবার টি-২০ বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়াও জলে যাবে। এ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শেষ হয়ে যেতে পারে ক্যাপ্টেন এমএস ধোনির টি-টুয়েন্টির ক্যাপ্টেনসিও। অন্তত বিরাট কোহলীর সাম্প্রতিক ‘আস্থাশীলতা’ সেটি আরও জোড়ালো করেছে। তাই হলে বিশ্বকাপে ধোনির নেতৃত্বও শেষ হবে।
ধোনির মতো খাদের কিনারায় তো ক্রিস গেইলও। তার দল হেরে গেলে এটিই শেষ বিশ্বকাপ ম্যাচ হবে ক্যারিবীয় দানবের। শুধু গেইল আর ধোনির নাম কেনো! ড্যারেন স্যামি, মারলন স্যামুয়েলস, আশিষ নেহরা, যুবরাজ সিং, হরভজন সিং, রবিচন্দন অশ্বিন তারাও কি আর বিশ্বকাপে থাকবেন? সম্ভাবনা একেবারেই শূন্যের কোটায়।
আজ হেরে যাওয়া মানে প্রথম দল হিসেবে দ্বিতীয়বার টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগটা এক ম্যাচ আগেই হারিয়ে ফেলা। ২০০৭ সালে প্রথমবার টি-২০ বিশ্বকাপ জিতে নিয়েছিলো ভারত। এরপর আর পাঁচ আসরে সুবিধা করতে পারেনি ধোনিরা। তাই আজ পরাজয় মানে টিম ইন্ডিয়ার জন্য দ্বিতীয় শিরোপা জয়ের অপেক্ষাটা ১৩ বছরের করে ফেলা।
কারণ আগামীতে টি-২০ বিশ্বকাপটা হবে চার বছর পর। এখন থেকে আইসিসি তাই করতে যাচ্ছে। ওয়ার্ল্ড টি-২০’র পরবর্তী আসর ২০২০ সালে অস্ট্রেলিয়ায়।
একই হিসাব ক্যারিবীয়দের বেলায়ও যাবে। তাদের অপেক্ষাটা হবে আট বছরের। ২০১২ তে শ্রীলংকার মাটিতে লংকানদের হারিয়েই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন ক্রিস গেইলরা।
আর ২০১১তে ওয়ানডে বিশ্বকাপের শেষটা হয়েছিলো এমএস ধোনির ছক্কায়। সেদিন ম্যাচ জয়ের নায়ক হলেও সব আলো একাই কেড়ে নিয়েছিলেন শচিন টেন্ডুলকার। আজ কি ধোনির জন্য কেউ তা করবেন? করলে সেটা সবচে ভালো মানাবে বিরাট কোহলিকেই। নাকি ধোনিই পারবেন নিজের আলো নিজের দিকে টেনে রাখতে। নাকি ক্রিস গেইল ঝড় তুলবেন ওয়াংখেড়েতে, সেই ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হবে এমএস ধোনির সব স্বপ্ন! ধোনি না গেইল, কে যাচ্ছেন ইডেনে আর কারা শেষ করছেন এই ওয়াংখেড়েতেই? শেষটা যাই হোক, একদিকে উল্লাসের বিপরীতে অন্যপক্ষে থাকবে চোখের জল।