একই দিনে শুক্রবার(১৬ নভেম্বর) দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে চলেছে তিনটি আলোচিত চলচ্চিত্র। কাকতালীয় ভাবে তিনটি সিনেমার মূল বিষয়বস্তু বাংলাদেশ ও রাজনীতি। আর তিন চলচ্চিত্র নিয়ে আশাবাদী ছবির নির্মাতা ও প্রযোজকরাও।
সামনে একাদশতম জাতীয় নির্বাচন। দেশে বইছে রাজনৈতিক হাওয়া। আর এই সময়েই শুক্রবার দেশের প্রেক্ষাগৃহ গুলোতে মুক্তি পেতে যাচ্ছে তিনটি চলচ্চিত্র। কাকতালীয় ভাবে তিনটি ছবির কাহিনীই বাংলাদেশের রাজনীতি ও সমাকালের প্রেক্ষাপটে নির্মিত। অন্তত সিনেমা মুক্তির আগে নির্মাতাদের এমনটাই ভাষ্য।
শুক্রবার দেশজুড়ে মুক্তি পাচ্ছে বহুল প্রতীক্ষিত তিনটি চলচ্চিত্র। ‘হাসিনা: অ্যা ডটারস টেল’, ‘লিডার’ ও ‘মিস্টার বাংলাদেশ’ নামের তিনটি চলচ্চিত্রেই ফুটে উঠবে বাংলাদেশের রাজনীতি। এরমধ্যে ‘হাসিনা’ চলচ্চিত্রটি শুধু ডকু-ড্রামা।
পিপলু খানের পরিচালনায় ‘হাসিনা’ ডকু-ফিকশের কাহিনী গড়ে উঠেছে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জীবনের দুঃখ-বিষাদ, ব্যক্তিগত আখ্যান, আর নৈকট্যের গল্পগুলো নিয়ে। যদিও নির্মাতা বলছেন, এটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বায়োপিক নয়, বরং এটা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার গল্প।
‘হাসিনা’ চলচ্চিত্রটি নিয়ে নির্মাতা জানান, কখনো তিনি বঙ্গবন্ধু কন্যা, কখনো জননী, কখনো বোন, কখনো গণমানুষের ত্রাতা রূপে আবির্ভূত হন যে জননেত্রী তার একটি প্রতিকৃতি এই চলচ্চিত্র। যা ১৬ নভেম্বর ঢাকায় বসুন্ধরা সিনেপ্লেক্স, যমুনা ব্লকবাস্টার ও মধুমিতায় ছবিটি মুক্তি পেতে যাচ্ছে। আর রাজধানীর বাইরে ছবিটি চট্টগ্রামের মিনিপ্লেক্সে দেখানো হবে।
অন্যদিকে প্রচার প্রচারণায় ব্যাপক আগ্রহ তৈরি করেছে খিজির হায়াত খানের অভিনয় ও প্রযোজনায় চলচ্চিত্র ‘মিস্টার বাংলাদেশ’। ‘একজনের প্রতিশোধ দেশের প্রতিবাদ’- এই স্লোগানকে সামনে রেখে ‘মিস্টার বাংলাদেশ’১৬ নভেম্বর দেশব্যাপী মুক্তি পেতে যাচ্ছে। যে ছবিতে উঠে এসেছে বাংলাদেশের কালো এক অধ্যায়ের গল্প!
সিনেমার মূল বিষয় জঙ্গীবাদ। জঙ্গীবাদের আস্ফালনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ আজ ঢুঁকরে মরছে। বিপন্ন হচ্ছে বিশ্ব মানবতা। ধর্মের নামে উগ্রবাদীতার ফলে বহু দেশ আজ নাজুক। জঙ্গীবাদের এমন ভয়ঙ্কর চর্চা স্পর্শ করে গেছে বাংলাদেশকেও। দেশের প্রেক্ষাগৃহগুলোতে একযোগে বোমা বিস্ফোরণ, রমনা বটমূলে বোমা হামলা, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আঘাতসহ সর্বশেষ রাজধানীর হলি আর্টিজানে ভয়ঙ্কর হামলার ঘটনা বাঙালির হৃদয়ে ক্ষতচিহ্ন এঁকে দিয়ে গেছে। আর এসব ক্ষতাক্ত ঘটনায় যেন উঠে এসেছে ‘মিস্টার বাংলাদেশ’ ছবিতে। নির্মাতা ইমান জানান, ছবিটি দেশের মানুষ খুব ভালো ভাবেই গ্রহণ করবে।
অন্যদিকে সমকালীন রাজনীতিকে প্রসঙ্গ করে সিনেমা নির্মাণ করেছেন ‘সুলতান’ নির্মাতা দিলশাদুল হক শিমুল। ‘লিডার’ ছবিতে গল্পই কেন্দ্রীয় চরিত্র এমনটা জানিয়ে নির্মাতা বলেন, একটি রাজনৈতিক উত্তেজনাপূর্ণ চলচ্চিত্র ‘লিডার’। বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এক অনন্য কাহিনীনির্ভর চলচ্চিত্র এটি। যে ছবির গল্পটাই কেন্দ্রীয় চরিত্র।
ছবিতে নেত্রীর ভূমিকায় দেখা যাবে চিত্রনায়িকা মৌসুমীকে। এছাড়াও ছবিতে অভিনয় করেছেন ফেরদৌস, ওমর সানি, নিঝুম রুবিনা, আহমেদ শরীফ, শহীদুল আলম সাচ্চু, সোহেল খান প্রমুখ।