এবার একটু দেরিতেই বিপিএল শুরু হয়েছে চিটাগং ভাইকিংসের। টুর্নামেন্ট তিনদিন গড়ানোর পর। তবে ম্যাচে নেমে শুরুর ঝড় তুলতে মোটেই দেরি করছে না সৌম্যদের দল। শুরুর ঝড়টা আবার শেষ পর্যন্ত ধরে রাখতে না পারায় মাশুল গুনতে হচ্ছে। প্রথম ম্যাচে একশ এসেছিল ১২ ওভারে, দ্বিতীয় ম্যাচে নবম ওভারেই। দুবারই পথ হারিয়েছে ভাইকিংসরা। কুমিল্লার বিপক্ষে পেরোতে পারেনি দেড়শ, একই গোলকধাঁধায় পড়েও রংপুরের বিপক্ষে অবশ্য সেটা করা গেছে।
বুধবার রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে শুরুর ঝড়ের পর মাঝে পথ হারিয়েও নির্ধারিত ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৬৬ রান পর্যন্ত যেতে পেরেছে চিটাগং ভাইকিংস।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ৪.৪ ওভারেই ৫৯ রানের উদ্বোধনী জুটি পায় বন্দরনগরীর দলটি। যাতে আগাগোড়া অবদান লুক রঞ্চির। এই উদ্বোধনীই যে ততক্ষণে ফিফটি পেরিয়ে গেছেন ১৯ বলের টর্নেডোতে। যাতে থাকল ৪ চার ও ৫ ছয়ের মার। বিপিএলের তৃতীয় দ্রুততম অর্ধশতক।
রঞ্চি যখন ফিফটি ছুঁলেন, আরেক উদ্বোধনী সৌম্য সরকারের রান তখন ৩! ব্যক্তিগত ৭ রানে সৌম্যর বিদায়েই ভেঙেছে জুটি। রঞ্চি আরও কিছুক্ষণ ছিলেন। নিউজিল্যান্ড তারকার ৭টি করে চার-ছয়ের ঝড় থেমেছে ৩৫ বলে ৭৮ রানে এসে।
পরে একটি করে চার-ছয়ে দিলশান মুনাবিরা ১৭ বলে ২০ রানে ফিরলে রানের গতি হারিয়ে বসে চিটাগং। লুইস রেইসির ১৬ বলে ১০ যা কমাতে বড় ভূমিকা রেখেছে।
সেটা কিছুটা উতরানো গেছে শেষদিকে। মিসবাহ-উল-হক ও এনামুল হক বিজয়ের ব্যাটে। মিসবাহ এক চারে ৩২ বলে অপরাজিত ৩১ করে সময়ের চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিতে পারেননি। সেখানে বিজয়ের চার-ছয় ছাড়া চেষ্টার ফল ১৪ বলে অপরাজিত ১৭ রান।
রংপুরের জার্সিতে বল হাতে উজ্জ্বল রবি বোপারা। ৩ ওভারে মাত্র ১৪ রানে ২ উইকেট। মলিঙ্গা ৪ ওভারে ২৫ রান দিয়ে উইকেটশূন্য। মাশরাফি ৪ ওভারে ২৮ রান খরচায় এক উইকেট পেয়েছেন।