প্রতিবছরের মতো এবারও অনন্যা বর্ষব্যাপী আলোচিত-আলোকিত দশ কৃতি নারীকে সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে শনিবার। কৃতি দশ নারীর মধ্যে একজন ছিলেন দেশের অত্যন্ত জনপ্রিয় ব্যান্ড চিরকুটের ভোকাল শারমিন সুলতানা সুমি। সংগীতে বিশেষ অবদানের জন্য শনিবার বিকেলে বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে ‘অনন্যা শীর্ষদশ সম্মাননা ২০১৭’ অনুষ্ঠানে এই সম্মাননা জানানো হয় তাকে। আর এমন সম্মাননা পেয়ে যেনো উচ্ছ্বাস ঠিকরে পড়ছে এই শিল্পীর।
‘অনন্যা শীর্ষদশ সম্মাননা ২০১৭’ পেয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় চিরকুটের এই ভোকাল জানান: পৃথিবীতে প্রতিদিন অসংখ্য ঘটনা ঘটছে। ছোট বড় মাঝারি নানা ঘটনা। সেসবের ভিড়ে হয়তো এটা তত বড় কিছু না। তবু মফস্বল থেকে উঠে আসা এক ভ্যাবাচ্যাকা কারোর, শুধু মেয়ে না; মানুষ হিসেবে আত্মসম্মানের সাথে এগিয়ে যাওয়ার গল্পে এই প্রাপ্তিটুকু অনুপ্রেরণা হতেই পারে।
সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে এই শিল্পী আরো বলেন: ধন্যবাদ ‘অনন্যা শীর্ষ সম্মাননা ২০১৭’। আপনাদের এই স্বীকৃতি সামনের পথগুলোতে উৎসাহ যোগাবে। আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ আরও যে সকল সম্মানিত গুণীজনেরা আজকে সম্মাননা পেলেন সবাইকে আমার আন্তরিক শুভ কামনা। তাঁদের প্রত্যেকের কাজ, শক্তি, এগিয়ে থাকার কথা আমাকে অনেক বেশি গর্বিত করেছে। সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা। কৃতজ্ঞতা যাদের জন্য আমার এ পর্যন্ত আসা। অনুষ্ঠানে সারা জীবনের সাপোর্টার মা, বোনেরা, ভাই উপস্থিত ছিল। এটা অন্য রকম ভালো লাগা। আমার ব্যান্ডের কেউ স্ব স্ব কাজের কারণে যেতে পারেনি। তাঁদের জন্য কঠিন শাস্তি অপেক্ষা করছে। যদিও এই পুরস্কারটি আমি এই তাদেরকেই উৎসর্গ করেছি।
ভক্ত ও চিরকুটের শ্রোতাদেরকেও কৃতজ্ঞতা জানাতে ভুলেননি সুমি। তাদের উদ্দেশ্যে বললেন: প্রিয় বন্ধুরা, ভাই-বোনেরা। আত্মীয়স্বজন, সহকর্মীবৃন্দ আপনারা কদিন ধরে যারা আমাকে তীব্র ভালোবেসে উইশ করেছেন; তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশে বোবা বোবা লাগছে। কিছুইতো করতে পারি না তেমন; তবু এত ভালোবাসা; এত আন্তরিকতা!
১৯৯৩ সাল থেকে অনন্যা শীর্ষদশ সম্মাননা দেয়া হচ্ছে। প্রতিবছর নিজ নিজ ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখার স্বীকৃতি হিসেবে দেশের ১০জন বিশিষ্ট নারীকে দেয়া হয় এই সম্মাননা। গত ২৪ বছরে ২৪০ জন কৃতীনারী পেয়েছেন এই সম্মাননা। এবারের সম্মাননাপ্রাপ্ত অন্য নারীরা হলেন :- অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম (শিক্ষা), ড. মোছাম্মাৎ নাজমানারা খানুম (প্রশাসনিক কর্মকর্তা), ফারজানা চৌধুরী (নারীউদ্যোক্তা/কর্পোরেট নারী), নবনীতা চৌধুরী (সাংবাদিকতা), স্বপ্না রাণী (গ্রামীণ নারীর স্বনির্ভরতা), নাদিরা খানম (তৃতীয় লিঙ্গ-অধিকারকর্মী), মাহফুজা আক্তার কিরণ (ক্রীড়া সংগঠক), নাজিয়া জাবীন (সমাজসেবা), ও মারিয়া মান্ডা (খেলাধুলা)।