ফেনীর মাদরাসাছাত্রী নুসরাত হত্যাকাণ্ডে যেমন দেশের প্রায় সব মানুষ শোকাহত হয়েছিলেন, ঠিক তেমনই এ মামলার রায়ে সবার প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে। বৃহস্পতিবার এ মামলার রায় ঘোষণার পর সোশ্যাল মিডিয়াসহ নানা পর্যায়ে এমন প্রত্যাশা পূরণের বিষয়টি লক্ষ্য করা গেছে।
নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যা মামলায় বৃহস্পতিবার অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলাসহ ১৬ জন আসামির সবাইকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামনুুর রশিদ এ রায় দেন।
এ মামলায় অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলাসহ ১৬ জন আসামির সবাইকে মৃত্যুদণ্ডের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে তার দ্রুত কার্যকর চেয়েছে নুসরাতের পরিবার। একই সঙ্গে রায়ের পর নিরাপত্তা বাড়ানোরও দাবি করেছেন নুসরাতের পরিবারের সদস্যরা। তাদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত এ দাবির সঙ্গে আমরাও একমত পোষণ করছি।
নুসরাত হত্যা মামলার সংক্ষিপ্ত রায় পড়ে জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামনুুর রশিদ প্রত্যাশা করেছেন: এই রায়ের পর আর কোনো শিক্ষার্থী এমন নৃশংসতার শিকার হবে না। আদালতের পর্যবেক্ষণের সাথে এমন প্রত্যাশা আমাদেরও। এই রায় কার্যকর হলে নারী নির্যাতন ও হত্যা বন্ধে দৃষ্টান্ত তৈরি হবে বলে আমরা আশা করি।
এছাড়া এই হত্যার ঘটনার পেছনের বিভিন্ন তথ্য বের করে আনার জন্য গণমাধ্যমকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বিচারক। এ ঘটনায় আমরাও গর্ববোধ করছি। গণমাধ্যম ঠিকভাবে কাজ করলে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় যে সহায়ক হয়, এ ঘটনায় তা প্রতিষ্ঠিত। শুধু ঘটনার পরে নয়, এমন দুর্ঘটনার আগেও গণমাধ্যমসহ সংশ্লিষ্ট সবার সতর্ক থাকতে হবে। তাহলে অনেকাংশে এসব ঘটনা কমে আসবে বলে আমাদের বিশ্বাস।
এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবে বলে জানিয়েছে আসামিপক্ষ। এটা যদিও তাদের অধিকার, তবুও উচ্চ আদালত ন্যায়বিচার বহাল রাখবেন বলেই আমরা আশা করি। দেশের উচ্চ আদালতের প্রতি সেই বিশ্বাস জনগণেরও আছে। খুনিরা দ্রুত তাদের প্রাপ্য সর্বোচ্চ দণ্ড পাবেন, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।