২০১৫ বিশ্বকাপ থেকে বাংলাদেশ দলের কেবলই উত্থান। দিন বদলের শুরু ইংল্যান্ডকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে খেলা। পরে ঘরের মাঠে পাকিস্তান, ভারত, সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয়। সবশেষ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনাল খেলাও গৌরব। দিন বদলের এমন সময় দলের বাইরে ছিলেন এনামুল হক বিজয়। প্রায় তিন বছর পর জাতীয় দলে ফিরেছেন। এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান মাঠের বাইরে থেকে কেমন দেখেছেন সাফল্যের ঊর্ধ্বগামী রেখায় হাঁটা বাংলাদেশ দলকে?
‘সিনিয়র যেকজন আছে, মাহমু্দউল্লাহ ভাই, মুশফিক ভাই, সাকিব ভাই, তামিম ভাই ও মাশরাফী ভাই; তারা সবাই অসাধারণ খেলেছে। তাদের তুলনা হয় না। তারা বাংলাদেশ দলকে বদলে দিয়েছে। এরমধ্যে মিরাজ ও মোস্তাফিজ উঠে এসেছে। সাব্বিরও আছে। মনে হয়েছে এই দলটা সবকিছুই করতে পারবে।’
২০১৫ বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ফিল্ডিংয়ের সময় কাঁধে চোট; অস্ট্রেলিয়া থেকে ফিরে আসতে হয় দেশে। ফিট হয়ে ওঠার আগেই ওপেনিংয়ে জায়গা পাকা করে ফেলেন সৌম্য সরকার। তাতে ধীরে ধীরে আড়ালেই যাচ্ছিলেন বিজয়। জাতীয় দলে হারানো সেই জায়গাটা ফিরে পেতে সময় লেগে গেল প্রায় তিন বছর। ধারাবাহিকতার অভাবে ওয়ানডে দল থেকে সৌম্য বাদ পড়লেন, আর বিজয়ের সুযোগ মিলল মূল স্কোয়াডে।
লম্বা সময় জাতীয় দলের বাইরে থাকলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফর্ম করে লাইমলাইটেই ছিলেন বিজয়। তবুও ফেরা হচ্ছিল না। হতাশা ছাপিয়ে অবশেষে জয়ী হয়েছে ফেরার চ্যালেঞ্জ, ‘হতাশার চেয়ে বেশি ছিল চ্যালেঞ্জ। আমার জন্য ঘরোয়া পর্যায়ের প্রত্যেকটা আসরই চ্যালেঞ্জিং ছিল। প্রিমিয়ার লিগেই যেমন, শেষ হলেই কথা উঠত বিজয় কত রান করল বা প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটেও একই কথা। বিপিএলেও সবাই দেখেছে কত করলাম। এটা আমার জন্য চ্যালেঞ্জ ছিল। নিজেকে আরও ভাল কিছুর জন্য অনুপ্রাণিত করাই চ্যালেঞ্জ। জাতীয় দলে সবাই যখন ভাল খেলে, তখন আসলে নিজের জন্য হতাশ লাগে না। বরং দেশ ভাল খেললে ভালই লাগে। আমি সবসময় বড় স্বপ্ন দেখি। এ কারণে হয়ত হতাশ লাগে না।’
মাঝের সময়টাতে ঘরোয়া ক্রিকেটে অনেক ম্যাচ খেলায় ব্যাটিং-কিপিং আগের চেয়ে উন্নত হয়েছে বলে মনে হচ্ছে বিজয়ের, ‘আমার মনে হয় অভিজ্ঞতার একটা ব্যাপার আছে। লম্বা কিছু ইনিংস খেলেছি। সম্ভবত ২০টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছি। ওয়ানডেও খেলেছি ৪০টার মতো। এটা একটা অভিজ্ঞতা। এছাড়া ওয়ানডে লিগে বা প্রথম শ্রেণির লিগে দলকে জেতানো বা জেতা দলে থাকা; এটাও দারুণ অভিজ্ঞতা। সঙ্গে ব্যাটিংয়ে দক্ষতা বাড়ানো, কিপিংয়ে কিছু কাজ করা; আসলে নিয়মিত খেলার মধ্যে থাকলে উন্নতির সুযোগ বেশি থাকে। আমার কাছে মনে হয়, উন্নতি অনেক বেশি হয়েছে। দুইটা ডাবল সেঞ্চুরি করেছি (প্রথম শ্রেণিতে)। সবকিছুতেই আগের থেকে ভাল মনে হচ্ছে।’