বাংলাদেশে গ্রীষ্মের এই সময়টাতে তাপমাত্রা বেড়ে যায়। এই সময় তাপজনিত কারণে জনজীবনে নানা অসুখ বিসুখ সমস্যা বেড়ে যায়। প্রচণ্ড তাপদাহে মানুষ হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়। হিটস্ট্রোক থেকে রক্ষার উপায় প্রচুর পানি পান করাসহ ডাক্তারের সাথে দ্রুত পরামর্শ করা। এখন দেশে চলছে প্রচণ্ড তাপদাহ।
ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে বৃষ্টিপাতে রাজধানীসহ দেশের সর্বত্র গরম কমেছিল। এরপর থেকে টানা গরম, বিশেষ করে রাজধানীতে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানাচ্ছে: বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি হওয়ায় আজ বুধবার গরম আরও কিছুটা বেশি হতে পারে। দেশের সর্বত্রই এ অবস্থা হতে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তর গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীতে বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছিল। কিন্তু বৃষ্টি হয়নি। সামান্য বৃষ্টি হয়েছে গাজীপুরে। আজ বুধবারও রাজধানীতে বৃষ্টির সম্ভাবনা কম। বৃষ্টির বিষয়টি নির্ভর করছে উত্তরের মেঘমালার ওপর। দেশের উত্তর প্রান্তে বড় মেঘমালা সৃষ্টি হলেই কেবল রাজধানীবাসী বৃষ্টির আশা করতে পারে।
তবে সেই আশা কম বলেই জানিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ বলেন: আজ সারা দেশেই গরম কিছুটা বাড়বে। আজ বৃষ্টির পরিমাণও কমে আসবে। কালও বৃষ্টি কম হয়েছে। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি থাকলে বেশি গরম অনুভূত হয়।এখন এটি গড়ে প্রায় ৭০ শতাংশ। রাজধানীতে আজ সকালে বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৫০ শতাংশ, তা বেড়ে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ হতে পারে। গতকাল রাজধানীতে তাপমাত্রা ছিল ৩৫ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন ছিল শ্রীমঙ্গলে ২২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শ্রীমঙ্গলে তাপ কমার কারণ বৃষ্টিপাত। গতকাল দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয় শ্রীমঙ্গলে। প্রায় ৩৭ মিলিমিটার। আজ সকাল সাতটা থেকে আগামী ছয় ঘণ্টায় ঢাকা ও আশপাশের আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে: আকাশ মেঘলা থাকতে পারে। আর আবহাওয়াও থাকবে শুষ্ক। দিনের তাপমাত্রাও প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের কয়েকটি জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভাষ্য নিয়ে সংশয় না রেখেও নিজেদের সতর্ক থাকার দরকার। এই গরমে প্রচণ্ড তাপদাহ থেকে বাঁচতে নিজেদেরও নিতে হবে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা। সঙ্গে খাবার পানি রাখা অত্যাবশক এবং হিট স্ট্রোক থেকে বাঁচতে অত্যধিক তাপ থেকে যথাসম্ভব দূরে থাকা দরকার। সরাসরি সূর্যের আলো এড়িয়ে চলা এই সময় জরুরি।