এই ঈদসহ তিন ঈদ বন্দী থাকতে হচ্ছে বিএনপি চেয়ারপার্সন ও তিনবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে। মুক্তি পেতে হলে আরও অন্তত দুটি মামলায় জামিন পেতে হবে তাকে। আর ঈদের আগে সেই সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। ফলে ৭৪বছরে পা রাখা খালেদা জিয়াকে পঞ্চমবারের মতো ঈদ করতে হবে বন্দী অবস্থায়।
এর আগে ১/১১ সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দুই ঈদ কারাগারে কাটাতে হয়েছে বিএনপি চেয়ারপাসনকে। সাব জেলে থাকার সময় ২০০৭ সালের ১৪ অক্টোবর প্রথম পালিত হয় রোজার ঈদ। এরপর ২০০৭ সালের ২১ ডিসেম্বর কোরবানির ঈদও ওই সাবজেলেই পালন করেন তিনি। ওই কারাগারে ৩৭২ দিন কাটানোর পর ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়া মুক্তি পান।
দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডিত হয়ে গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। দীর্ঘদিন পুরনো ঢাকার নাজিমউদ্দীন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে থেকে অসুস্থ খালেদা জিয়াকে বর্তমানে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
কারাবিধি অনুযায়ী, ঈদের দিন খালেদা জিয়ার জন্য বিশেষ খাবারের ব্যাবস্থা থাকবে। এছাড়া এদিন খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্যরা চাইলে তার সঙ্গে দেখা করতে পারবেন। তার জন্য খাবারও নিয়ে আসতে পারবেন।
বিএনপির গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, ঈদের দিন কারাগারে খালেদা জিয়ার সঙ্গে পরিবারের সদস্যরা দেখা করবেন। তারেক রহমানের পরিবার, কোকোর স্ত্রী ও মেয়েরা লন্ডনে থাকায় খালেদা জিয়ার ভাই, বোন ও তাদের ছেলে-মেয়েরা যাবেন দেখা করতে। এছাড়া বিএনপির নেতারাও দেখা করতে যাবেন।
খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে কথা বলেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন: আপনারা জানেন, ‘গণতন্ত্রের মা’ দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে মিথ্যা মামলায় কারাবন্দি করে রাখা হয়েছে। এই পবিত্র মাহে রমজানে চরম অসুস্থ অবস্থায় প্রিজন সেলে দিনাতিপাত করছেন তিনি। সম্পূর্ণরূপে জুলুম করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাবন্দী করা হলেও দেশের মানুষের প্রত্যাশা ছিল মিডনাইট ভোটের সরকার দেশনেত্রীকে ঈদের আগেই মুক্তি দেবে। কিন্তু সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী লন্ডনে যা বলেছেন সে প্রতিহিংসাই তিনি বাস্তবায়িত করছেন।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী ও স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিটার মওদুদ আহমদ খালেদা জিয়ার মুক্তি বিষয়ে আশা প্রকাশ করে বলেন: কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার এখনও যেসকল মামলায় জামিন বাকি রয়েছে তার মধ্যে দুটি মামলায় জামিন হলেই তিনি কারাগার থেকে বের হতে পারবেন।
মওদুদ আহমদ আশা প্রকাশ করলেও ঈদের আগে খালেদা জিয়ার মুক্তির সম্ভাবনা একেবারেই নেই। কারণ, ঈদের আগে আদালতে খালেদা জিয়ার মামলার তারিখ নেই। এছাড়া ৩জুন ঈদের ছুটি শুরু হচ্ছে আদালতে। ফলে খালেদা জিয়াকে বন্দী অবস্থায় ঈদ কাটাতে হবে এবারও।