চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

ঋণ খেলাপিদের সুযোগের সার্কুলারে স্থিতাবস্থার আদেশ স্থগিত

ঋণ খেলাপিদের বিশেষ সুযোগ দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা সার্কুলারের উপর হাইকোর্ট যে স্থিতাবস্থা ২ মাস বাড়িয়েছিল তা ৮ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদলত।

সেই সাথে বিষয়টি ৮ জুলাই প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চে শুনানির জন্য নির্ধারণ করেছেন আদালত।

হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালতের বিচারপতি নুরুজ্জামান এই আদেশ দেন।

আজ আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। আর অর্থ মন্ত্রণালয়ের পক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

চেম্বার আদালতের আজকের আদেশের ফলে ঋণ খেলাপিদের বিশেষ সুযোগ দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা সার্কুলারের কার্যকারিতা ৮ তারিখ পর্যন্ত কার্যকর হয়ে গেল বলে জানান আইনজীবীরা।

এর আগে ঋণ খেলাপিদের বিশেষ সুযোগ দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা সার্কুলারের উপর স্থিতাবস্থা দুই মাস বাড়িয়ে গত ২৪ জুন আদেশ দেন বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

ওইদিন হাইকোর্ট তার আদেশে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ অন্যান্য ব্যাংকে আর্থিক দুর্নীতি, অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা রোধে এবং এ বিষয়ে কমিশন গঠন প্রশ্নে জারি করা রুলের জবাব আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রী সচিবালয়ের সচিব, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের দুই সচিব, আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালককে দিতে বলেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ওই সার্কুলারটির বিষয়ে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেছেন ‘২ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট জমা দিয়ে ১০ বছরের জন্য ঋণ পুনঃতফসিলের যে সার্কুলার দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক এটা হচ্ছে ঋণ খেলাপিদেরকে নতুন করে একটা সুযোগ দেয়া। যেখানে ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট দিয়ে ঋণ খেলাপিরা ‘খেলাপির’ হাত থেকে মুক্তি পাবে, সিআইবিতে তাদের নাম থাকবে না। তখন নতুন করে হাজার হাজার কোটি টাকা তারা আবার ঋণ নিয়ে যাবে। এতে ব্যাংকের মেরুদণ্ড ভেঙে যাবে।’

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জারি করা সার্কুলারটি স্থগিত চেয়ে করা সম্পূরক আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারের উপর স্থিতাবস্থা জারির আদেশ দেন। আদেশের সময় হাইকোর্ট বাংলাদেশ ব্যাংকের ওই সার্কুলারকে ‘দুষ্টের পালন, শিষ্টের দমন’ হিসেবে উল্লেখ করেন।

সেই সাথে আদালত তার আদেশে ঋণখেলাপিদের তালিকা, কী পরিমাণ ঋণের সুদ মওকুফ করা হয়েছে তা, এবং ঋণের সুদ মওকুফের ক্ষেত্রে অনিয়ম বন্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তার তথ্য ২৪ জুনের মধ্যে দাখিল করতে বাংলাদেশ ব্যাংককে নির্দেশ দেয়া হয়। সে অনুযায়ী হাইকোর্টে ঋণখেলাপিদের তথ্য দেয় বাংলাদেশ ব্যংক।