প্রয়াত নাট্যজন খালেদ খান দলটির নামকরণ করেছিলেন। ২০১৫ সালের মার্চে প্রথম মঞ্চে আসে নাটকটি। প্রায় চার মাস পর আবারো মঞ্চে ফিরছে ‘বাতিঘর’ নাট্যদলের প্রথম মঞ্চ প্রযোজনা ‘উর্নাজাল’। শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় মঞ্চস্থ হবে নাটকটির ১৭ তম মঞ্চায়ন।
লেখাপড়া শেষ করে দেশে ফিরেছে খালেদ। দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটে তার পরিবার ও গ্রামবাসীর। বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য রেখে যাওয়া পিতার স্বপ্নের এক খণ্ড জমিতে মাদ্রাসা গড়েন তিনি। অন্যদিকে আখড়ায় বেড়ে ওঠা খালেদের ছোটবেলার বন্ধু সয়ফুল ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত হতে গিয়ে হারিয়ে ফেলেন তার শিল্পসত্তা। ঘুণ ধরে প্রিয় একতারায়। এদিকে চোখ দান করার অপরাধে জয়নাল গাতকের জানাজা পড়া নিয়ে তৈরি হয় গভীর সংকট। মসজিদের এক ইমাম তার জানাজা পড়ালে তার জিহ্বা কেটে নেয়া হয়। গাতকের কবরে গোখরো সাপ দেখে ভীত হয় গ্রামবাসী। এই সুযোগে ধর্মীয় মতবাদে কৌশলে ঢুকে পড়ে অপকৌশল ও কূটনীতি। কাফের মুরতাদ হত্যার প্রশিক্ষণ চলতে থাকে দূরের জঙ্গলে জঙ্গি ক্যাম্পে। সমাবেশে গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটাতে গিয়ে হতাহতের দৃশ্যে বিহ্বল মুজাহিদের মৃত্যু হয় পিন পয়েন্ট খোলা নিজের হাতের অন্য গ্রেনেডে। গোপনে বাঁশঝাড়ে দাফন হয় লাশটির।
মধ্যরাতে শহিদের লাশ খায় একদল শিয়াল। মুরতাদের চোখ নিয়ে বেঁচে থাকা মুজাহিদ বিভ্রান্ত হয় জিহাদি কর্মে। আমির কৌশলে তার চোখ দুটো উপড়ে ফেলে। তৃতীয় নয়ন উন্মোচিত হয় মুজাহিদের। এভাবেই এগিয়ে যায় ঊর্ণাজাল নাটকের কাহিনি।
ঘটনাক্রমে ধর্মান্ধরা ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে শুরু করে গ্রামজুড়ে নৃশংসতা।’
নির্দেশক বাকার বকুল নিজেই লিখেছেন নাটকটি। তিনি বলেন, গল্পটি নিজস্ব অভিজ্ঞতার নির্যাস থেকে লিখেছি। নিজস্ব সংস্কৃতিকে চিনতে না পারার কারণেই ব্যক্তির অধঃপতন এ নাটকে ঘুরেফিরে এসেছে।
নাটকটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন মুক্তনীল, সাদ্দাম রহমান, সাদিয়া ইউসুফ বৃতা, ফিরোজ মুনীর, শাফিন আহমেদ অশ্রু, সঞ্জয় হালদার, সঞ্জয় গোস্বামী, শিশির সরকার, তাজিম আহমেদ শাওন, সাবরিনা শারমিন,লাবনী, স্মরণ বিশ্বাস, ফয়সাল মাহমুদ, রুম্মান সারু,অয়োমী, রাজু,তাজিম প্রমুখ।