চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

উল্টো ঝড়ে এলোমেলো বাংলাদেশ

বড় টার্গেটের পেছনে ছুটতে গিয়ে শুরু থেকেই দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। কিন্তু ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের চতুর্থ বলে দুজনের দ্রুত রান নেয়ার চেষ্টায় রানআউটে কাটা পড়েন তামিম।

৬ বলে ৮ রান করা বাঁহাতি ব্যাটসম্যান তামিমকে শাই হোপের পাঠানো বলে রোভম্যান পাওয়েল রানআউট করেন।

তামিম ফিরলেও প্রথম ম্যাচের মতোই ব্যাট চালাতে থাকেন লিটন। তার ব্যাটিং ধারেই চার ওভারে ৬৫ রান তুলে ফেলে বাংলাদেশ। কিন্তু লিটন ঝড়ের মধ্যেই আরেক ঝড় শুরু হয়। যে ঝড়ে এলোমেলো বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ। পরপর ফিরে যান সৌম্য সরকার, সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম।

১০ বলে ৯ রান করে আউট হন সৌম্য। স্পিনার অ্যালেনের বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে লংঅনে কর্টেলের হাতে ধরা পড়েন তিনি। পরের বলেই ফেরেন সাকিব। একই বোলারের বল ও একই ফিল্ডারের হাতে ঠিক একই স্থানে ধরা পড়েন অধিনায়ক। প্রথম বলে আউট হওয়ায় স্বভাবতই রানের খাতা খোলা হয়নি তার।

৬৫ রানে তৃতীয় উইকেট যাওয়ার পর স্কোরবোর্ডে মাত্র এক রান যোগ হতেই আবার আঘাত। এবার ফেরেন মুশফিকুর রহিম। কিমো পলের বলে বাংলাদেশ উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান ক্যাচ দেন জোড়া আঘাত হানা অ্যালেনের হাতে।

ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিয়ে টিকতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও। ১১ রান করে ক্যারিবীয় অধিনায়কের হাতে ক্যাচ দিয়ে কিমো পলের দ্বিতীয় শিকার হয়েছেন তিনি।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ৯ ওভারে ৮৪ রান। উইকেটে রয়েছেন লিটন ৪৩ ও মিরাজ ১ রানে।

এরআগে টি-টুয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচে বোলিংটা শুরুর দিকে একেবারেই ভালো হয়নি বাংলাদেশের। সেই সুযোগে শুরু থেকে টাইগারদের উপর ঝড় তোলেন এভিন লুইস। মূলত তার ব্যাটে ভর করেই বড় সংগ্রহের দিকে ছুটছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেষ পর্যন্ত মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, সাকিব আল হাসান ও মোস্তাফিজুর রহমানের বুদ্ধিদীপ্ত বোলিংয়ে সফরকারীরা গুটিয়ে যায় ১৯০ রানে।

মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে শনিবার টি-টুয়েন্টি সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে আগে বল হাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৯.২ ওভারের মধ্যে সব উইকেট তুলে নিয়ে ১৯০ রানে থামিয়ে দেয় বাংলাদেশ। দলের হয়ে ৩৬ বলে ৬ চার ও ৮ ছয়ে ৮৯ রান করেন এভিন লুইস। নিকোলাস পুরান ২৯ ও রোভম্যান পাওয়েল করেন ১৯ রান।

বাংলাদেশের হয়ে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, সাকিব আল হাসান ও মোস্তাফিজুর রহমান নিয়েছেন ৩টি করে উইকেট।